ভোলার বোরহানউদ্দিন পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডিংয়ে লাগামহীন অনিয়ম

ভোলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন বোরহানউদ্দিন পল্লী বিদ্যুৎ যোনাল অফিস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীন ও অব্যবস্থাপনায় মফস্বল এলাকার গ্রাহকরা ভৌতিক বিলসহ নানা অনিয়মের শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেও ফায়দা হচ্ছেনা। দুর্নীতি ও অনিয়মের রসের হাড়ি খুঁজতেই যেনো এরা ব্যস্ত।

যোনাল অফিস প্রদত্ত নভেম্বর ২০২৪ হতে মে ২০২৫ পর্যন্ত একটি আবাসিক বিল দেখলে সহজেই অনুমেয় গ্রাবক পর্যায়ে মিটার রিডাররা কীভাবে তাদের অনিয় চালাচ্ছেন।

জানাযায়, বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ইউনিয়নের চকঢোষ ০৭ নং ওয়ার্ডের গ্রাহক হিসাব নং-১০৫৬০৭১৮৪১৭৭০ এর আওতায় বিগত সাত মাসের বিলের হিসাব যথাক্রমে: নভেম্বর২০২৪ ইউনিট ১১০, ডিসেম্বর২০২৫ ইউনিট ৭৫, জানুয়ারি- ইউনিট ৪৫, ফেভ্রুয়ারি- ইউনিট ৫০, মার্চ-১০৫, এপ্রিল-ইউনিট ২০ ও মে-ইউনিট ১৮৫; বিল ১৩৪৫ টাকা।

গ্রাহকের প্রশ্ন, মিটার রিডার প্রতিমাসে মিটার রিডিং নেন না। মুখস্থ বিল করেন। যেখানে শীতকালে বিদ্যুৎ বিল কম আসার কথা সেখানে সেইসময় গড় বিল ৮০ ইউনিটের উপরে। আবার অতিরিক্ত গরমের মাস এপ্রিলে মাত্র ২০ ইউনিটের বিল আসে। কিন্তু, বিস্ময়কর বিল আসে মে মাসে ১৮৫ ইউনিট।

এখানে অনিয়মটা কোথায়! বিলের ধারাবাহিকতায় সহজেই পরিস্কার যে, মিটার রিডার প্রতিমাসে সরেজমিন মিটার রিডিং করেন না। তাঁর মতে, শীতকালে তিনি গড়ে প্রতিমাসে ৪০ ইউনিট এবং গ্রীস্মকালে সর্বোচ্চ ৭০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। এভাবে বিল আসবে এটাই যৌক্তিক।

সংশ্লিষ্ট গ্রাহক অবশেষে মিটির রিডারের সন্ধান পান, যার নাম মামুন, বাড়ি নোয়াখালি। “হযবরল” বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে গ্রাহককে গুরুত্ব দেননি, পরে যখন জানতে পারেন গ্রাহক একজন সিনিয়র গণমাধ্যমকর্মি তখন তার বোধদয় হয়। মিটার রিডার মামুন বলেন, তিনি অফিসে গিয়ে বিষয়টি সমাধান করে জানাবেন। কিন্তুু, মিটার রিডার মে মাসের ১৮৫ ইউনিটের ১৩৪৫ টাকার বিল করে পাঠান।

এ ব্যাপারে মিটার রিডার মামুনের মোবাইল নাম্বার ০১৬৪০৬৮৫৭০৫-এ যোগাযোগ করলে গ্রাহককে তিনি সাড়া দেননি।

ভোলা পল্লী বিদ্যুতের যোনাল অফিসের কার্যক্রম নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখিত বিলের অনিয়ম নিয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে অভিযোগ দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে এই গ্রাহক জানান।