দেশে ভয়াবহ রূপে করেনোভাইরাসের সংক্রমণ
দেশে করেনোভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ রূপে ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সরকারের দেওয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশে গড় শনাক্তের হার ২৩ শতাংশে পৌঁছে গেছে। দেশের সামগ্রীক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রোগীর সেবা বাড়ানো, বিনোদন কেন্দ্র, বইমেলা ও সমাজিক অনুষ্ঠানবন্ধ করাসহ পাঁচ দফা গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে।
বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভায় এই ৫ দফা সুপারিশ করা হয়।
জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লা কমিটির পক্ষে সুপারিশগুলো গণমাধ্যমে পাঠান।
এগুলো হচ্ছে- ১. প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ কমানোর লক্ষ্যে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। পরামর্শক কমিটি এই নির্দেশনা জারিকে স্বাগত জানায় এবং ধন্যবাদ জানায়। তবে এগুলো কার্যকর করার জন্য বাস্তবায়ন কর্মসূচি বা প্রস্তুতি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন।
২. হাসপাতালগুলোতে যথাসম্ভব কোভিড-১৯ রোগীর শয্যা সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। আইসিইউতে শয্যা বাড়ানো দরকার। ঢাকার বাইরে মেডিকেল কলেজগুলোর সক্ষমতা বাড়িয়ে সেখানে এলাকার রোগীদের চিকিৎসা করা দরকার।
৩. কোভিড-১৯ এর জন্য টেস্ট করতে আসা মানুষ যাতে সহজে সেবা পায় তার ব্যবস্থা করা দরকার। আগামী দিনগুলোতে করোনা টেস্ট করার চাহিদা বাড়তে পারে, সেটি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি প্রয়োজন।
৪. রোগ প্রতিরোধের জন্য অবিলম্বে সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র, বইমেলা ও অন্যান্য মেলা বন্ধ করা দরকার। পরিবহনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা এ সম্পর্কে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব নির্দেশনা যাতে পালন করা হয় তার ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে দিকনির্দেশনা নেওয়া যেতে পারে।
৫. টিকাদান পরবর্তী সার্ভিলেন্সের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। বর্তমান পরিস্থিতিতে সংক্রমণের গতি প্রকৃতি বোঝার জন্য জেনেটিক সিকুয়েন্সিং করা দরকার। এ জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন