মক্কা-মদিনায়ও গরু জবাই অপরাধ : আরএসএস নেতা
ভারতে গরুসহ হেঁটে যেতে দেখলে কিংবা গরুর মাংস খেয়েছে এমন গুজবে বেশ কয়েকজন মুসলিমকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে কমপক্ষে ২২ জন মুসলিমকে এজন্য হত্যা করা হয়।
গো-রক্ষার নামে এভাবে পিটিয়ে মানুষ হত্যা বন্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। গণপিটুনিতে মানুষ হত্যা বন্ধে করণীয় খুঁজে বের করতে জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
তবে উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) নেতা ইন্দ্রেশ কুমার গণপিটুনিতে হত্যা বন্ধে একটি ‘সমাধান’ দিয়েছেন। সোমবার তিনি বলেছেন, ‘গো-হত্যার পাপ বন্ধ হলে, এই সমস্যারও সমাধান হবে।’
সর্বশেষ রাজস্থানের আলওয়ার এলাকায় গরু নিয়ে যেতে দেখে আকবার খান নামে এক মুসলিমকে গণপিটুনি দেয়া হয়। পুলিশ চা-নাস্তা করে তিন ঘণ্টা দেরিতে আকবরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিজেপির মতাদর্শিক গুরু আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ‘যিশু গো-শালায় ভূমিষ্ঠ হয়েছেন। এজন্য খ্রিস্টান ধর্মে মা গরুকে নিয়ে আলোচনা হয়। মক্কা এবং মদিনায়ও গরু হত্যা অপরাধ। এই পাপ থেকে মানবতাকে মুক্ত করতে আমরা কি গরু হত্যা না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারি না? যদি এটা হয়, তাহলে গণপিটুনিতে হত্যার বিষয়টিও সমাধান হয়ে যাবে।’
এদিকে হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার অভিযোগে সোশ্যাল এক্টিভিস্ট স্বামী অগ্নিভেষকে বিজেপি কর্মীদের গণধোলাইয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা ভুল এবং নিন্দনীয়। কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলে অন্যের অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অধিকার কারও নেই।’
যারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবেন, তাদের জন্য কঠোর আইন প্রণয়নেরও দাবি জানান আরএসএসের কার্যনির্বাহী কমিটির এই সদস্য।
দেশের বিভিন্ন অংশে অব্যাহত গণপিটুনিতে হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ‘যে কোনো ধরনের গণপিটুনির ঘটনাই নিন্দনীয়।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন