মঙ্গলগ্রহেরই একটি অংশ চাঁদ : ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্র আবার চন্দ্রপৃষ্ঠে অভিযানে যাবে বলে গত বছর অক্টোবরে ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। চলতি বছরের মার্চে নাসার প্রশাসক জিম ব্রাইডেনস্টেইন জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে আবারও চাঁদের মাটিতে পা রাখতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ হোয়াইট হাউসের সম্মতির পর সে লক্ষ্যে কাজও শুরু করে দেয় নাসা।
সেই ঘোষণার পর গত ১৩ মে টুইটারে ট্রাম্প লিখেছিলেন: ‘আমরা আবারও চাঁদে যাচ্ছি।’
কিন্তু এ টুইটের তিন সপ্তাহের মাথায় শুক্রবার (৭ জুন) হঠাৎ ভিন্নরকম বক্তব্য দিয়ে টুইট করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
টুইটারে তিনি নাসাকে চাঁদকে বাদ দিয়ে মঙ্গলগ্রহের মতো আরও বড় কোনও লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগী হতে বলেন।
নাসার মতো সংস্থ্যা সঠিক লক্ষ্য রেখে ছোট অভিযানের দিকে অর্থ খরচ করছে বলে সরাসরি আক্রমণ করেন ট্রাম্প। চাঁদকে অপেক্ষাকৃত ছোট লক্ষ্যবস্তু বোঝাতে গিয়ে এক পর্যায়ে চাঁদকে মঙ্গলগ্রহের অংশ বলে উল্লেখ করে বসেন তিনি।
ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন, ‘আমরা ৫০ বছর আগেই চাঁদে গিয়েছি৷ এখন আর সেখানে যাওয়া জরুরি নয়। নাসার উচিত আরও বড় লক্ষ্যের দিকে তাকানো৷ আমরা এত এত টাকা খরচ করছি। চাঁদে যাওয়ার আলোচনা বন্ধ করা উচিত নাসার৷ নাসার উচিত বড় লক্ষ্যে দৃষ্টি দেওয়া৷ যেমন- মঙ্গলগ্রহ (মঙ্গলগ্রহেরই একটি অংশ চাঁদ)’
ট্রাম্পের এমন টুইটে যেমন হতবাক হয়েছেন তেমনই হতাশ হয়েছেন মহাকাশ সংশ্লিষ্ট অনেককেই।
ট্রাম্পের এমন দ্বিমুখী আচরণ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও সমর্থন জানিয়ে বহু সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন তিনি। তাছাড়া অনেক অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তাও শোনা গেছে তার মুখ থেকে।
এর আগে জলবায়ু বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যাকেও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ট্রাম্প। সে সময় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, বিশ্বের জলবায়ু পরিস্থিতি নিয়ে বিজ্ঞানীরা যা বলেন এবং পরিসংখ্যানে যা উঠে আসে তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই।
মেরু অঞ্চলের বরফ গলার খবরও সত্য নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন