মঠবাড়িয়ায় কার্পেটিং রাস্তার ওপরে বেড়িবাঁধের কাঁদামাটি : চরম জনদুর্ভোগ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানিসাফা ও তেঁতুলতলা এলাকায় কার্পেটিং রাস্তার ওপর দিয়ে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করায় সংযোগ স্থানের মাটি বর্ষায় কাদা হয়ে গেছে। এতে করে তৈরি হয়েছে চরম জনদুর্ভোগ। ব্যহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল।
জানা গেছে,ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমূলা, ধাওয়া, ইকড়ি,চরখালী,হেতালিয়া,বোথলা, জুনিয়া,হরিণপালা ও তেলিখালী ইউনিয়নে ৫৯ কি.মি দীর্ঘ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানিসাফা ও মিরুখালী ইউনিয়নের একটি অংশ এ বেড়িবাঁধের আওতায় পড়েছে। মিরুখালী – বাদুরা এলাকার ভুতাখালটি এখন অনেকটা মরাখালে পরিনত হয়েছে। তবুও এ খালটিকে কেন্দ্র করে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে কোন কোন জায়গায় মাঠের মধ্য দিয়ে, কোন জায়গায় কৃষি জমি ও বাড়ির ওপর দিয়ে আবার কোন জায়গায় কার্পেটিং রাস্তার ওপর দিয়ে বেড়িবাঁধটি অতিক্রম করেছে।ধানিসাফা ও মিরুখালী এলাকায় বেড়িবাঁধটি এখন মানুষের গলারকাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গ্রাম পুলিশ নুরুজ্জামান টুকু জানান,বেড়িবাঁধ কার্পেটিং রাস্তার ওপর দিয়ে নিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংযোগ স্থানটি পাকা করে না দেওয়ায় জনদুর্ভোগ তৈরি হয়েছে।
ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান,তেঁতুলবাড়িয়া গ্রাম অভিমুখী কার্পেটিং রাস্তার ওপর , ভাঙ্গাপোল থেকে সাফার দিকে আসতে কার্পেটিং রাস্তার ওপর এবং সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন কার্পেটিং রাস্তার ওপর দিয়ে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করায় সংযোগ স্থান বর্ষায় কর্দমাক্ত হয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পিরোজপুরের উপ সহকারী প্রকৌশলী নুরুননেওয়াজ সাকিব জানান,বেড়িবাঁধ আমাদের কিন্তু সড়কতো দেখার দায়িত্ব আমাদের না।সড়কে কোন দুর্ভোগ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখবে।
এ ব্যাপারে এলজিইডি মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল কাইয়ূম জানান,জনস্বার্থে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন