মঠবাড়িয়ায় কালো টাকা দিয়ে আনারসের বিজয় ঠেকানো যাবে না

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় কালো টাকা দিয়ে আনারসের বিজয় ঠেকানো যাবে না বলে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীকে হুশিয়ার করে দিয়েছেন বক্তারা।আগামী ৯ জুন মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ উপলক্ষে শুক্রবার (৭ জুন) বিকালে আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের হাই স্কুল মাঠে আনারস প্রতীকের এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। নেতা -কর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে পথসভা জনসভায় পরিনত হয়।রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ও আশরাফুর রহমানের বক্তব্যের পূর্বে বিশাল মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়।

পথসভায় বক্তারা শান্ত মঠবাড়িয়াকে যারা অশান্ত করে তাদেরকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করার আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন-নির্বাচনের অল্প কয়েকদিনেই মঠবাড়িয়ায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। একটি মহল প্রার্থী হায়ার করে নিয়ে এসেছে। ডাকাত ভাড়া করে অস্ত্র নিয়ে এলাকায় এলাকায় ঘুরে মঠবাড়িয়াকে আতঙ্কের জনপদে পরিনত করেছে। কিন্তু এতে আনারসের ভোট একটিও কমে নাই।বরং আনারসের ভোট আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। মঠবাড়িয়াকে শান্ত ও নিরাপদ রাখার জন্য মানুষ আনারস প্রতীকেই ভোট দিবে।

বক্তারা আরও বলেন,৯ জুনের ভোটযুদ্ধ হবে কালোটাকার সাথে আনারসের। মঠবাড়িয়ার মানুষ টাকায় বিক্রি হয় না।তারা সন্ত্রাস চায় না।যারা পকেটে পিস্তল নিয়ে ঘোরে তাদেরকে ভোট দিবে না।রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ৫ বছর মানুষের যে সেবা দিয়েছে তা মানুষের মনে আছে।কোন আদম ব্যবসায়ীর কথায় মানুষ ভোট দিবেনা।আশরাফুর রহমান ও রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের মত যারা মানুষের সেবা করতে জানে,সকাল হলেই যাদের দরজায় মানুষের ভিড় থাকে, যারা নিয়োগ বানিজ্য, টেন্ডার বানিজ্য, ডিসিআর বানিজ্য করে না মানুষ তাদেরকেই ভোট দিবে।দুষ্টচক্র ক্ষমতায় আসলে ভাইয়ে ভাইয়ে হানাহানি শুরু হবে,দখল বানিজ্য শুরু হবে,ভান্ডারিয়া তেলিখালীর লোকদের কথায় সাধারণ মানুষদের চলতে হবে।কয়েকদিনেই তারা মঠবাড়িয়াকে একটি রক্তাক্ত জনপদে পরিনত করেছে।বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা শাহ আলম দুলাল আশরাফুর রহমানকে হ্যামিলনের বংশিবাদক হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন-খেলা হবে।৯ তারিখে খেলা হবে।যে আশরাফুর রহমানের ডাকে আমাদের মায়েরা ঘরে তালা মেরে মাঠে চলে আসে,যে আশরাফুর রহমানের ডাকে কর্মমুখী মানুষ কাজ ফেলে রেখে রাজপথে চলে আসে সেই আশরাফুর রহমানকে কেউ হারাতে পারে না।

আনারস প্রতীকের প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন,কালো টাকা দিয়ে আমার প্রার্থীতা বাতিল করতে চেয়েছিল।কিন্তু উচ্চ আদালত আমার প্রার্থীতা বহাল রেখেছে। আমার আইনজীবীকে টাকার বস্তা অফার দিয়েছিল।তিনি সে অফার ঘৃণাভরে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এখনও যে ভাল মানুষ আছে তা হয়তো তারা বুঝতে পারে নাই।

আশরাফুর রহমান বলেন’৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আমরা এমন একটি মঠবাড়িয়া চেয়েছিলাম যে মঠবাড়িয়ায় কোন বিভাজন থাকবে না, কোন বিভক্তি থাকবে না। কিন্তু একটি দুষ্টচক্র উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মঠবাড়িয়াকে অশান্ত করে তুলেছে।এতদিন তারা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে এলাকায় তান্ডব চালিয়েছে। এখন সময় এসেছে প্রতিরোধের। নির্বাচনের আগের দিন কালো টাকা দিয়ে তারা যাতে ভোট কিনতে না পারে সেজন্য তাদেরকে প্রতিহত করবেন। তারা যেন ভোট কিনতে না পারে।

আনারস প্রতীকের পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন – মঠবাড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন আফজাল, সাবেক পৌর প্রশাসক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আরিফ উল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশীদ, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সাবেক সহ-সভাপতি চঞ্চল কর্মকার,টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আরিফুর রহমান সিফাত, কলস প্রতীকের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তাহেরুন নেছা নাসিমা, বেতমোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন আকন,আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিল ফরাজী,উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নুরুজ্জামান লিটন,উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আকন,উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম টুকু, আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম, আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোশারেফ হোসেন শরীফ,সাপলেজা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মোস্তফা দুলাল।