মঠবাড়িয়ায় কৃষকের নামে ডিজিটাল আইনে মামলা : থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় আলকাজ উদ্দিন নামে এক কৃষক এবং তার পুত্র সৌদি প্রবাসী নাসিরসহ ৭ জনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৬ জুন দাউদখালী ইউনিয়নের দেবত্র এলাকার মোঃ রত্তনের মেয়ে সালমা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ গোলাম ফারুক মামলাটি আমলে নিয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগী কৃষক আলকাজ উদ্দিন (৫০) সাপলেজা ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া গ্রামের মৃত কাশেম হাওলাদারের পুত্র।
মামলার অন্য আসামীরা হলো-কাজী মোঃ মাহমুদুল হাসান খন্দকার, নাসিরের স্ত্রী চম্পা বেগম এবং নাসিরের ছোট ভাই বসির হাওলাদার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সৌদি প্রবাসী নাসিরের সাথে মামলার বাদী সালমার মোবাইলে পরিচয় অতঃপর বিয়ে হয়। কিন্তু সালমা এই বিয়ে অস্বীকার করে নাসিরের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা দায়ের করে। বিবাহের প্রমানস্বরূপ কাবিননামা থাকা স্বত্বেও এবং পিরোজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা ধর্ষন মামলাটি নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই একের পর এক মামলায় দিয়ে কৃষক পরিবারটিকে হয়রানি করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি,আলকাজ উদ্দিন তেমন লেখাপড়া জানেনা। ফেসবুক ব্যবহার করে না। ডিজিটাল মামলার কথা শুনে এখন সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আগের মত কাজ করতে পারছেন না কৃষি ক্ষেতে।
কাজী মাহামুদুল হাসান খন্দকার জানান, সালমা ও নাসিরের বিবাহের কাবিননামা সত্য ও সঠিক। উভয়ের স্বতঃস্ফূর্ত ইচ্ছায় এই বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। এখন এই কাবিননামা কেউ অস্বীকার করলে সে আইনগতভাবে দায়ী হতে পারে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, এ ধরনের কোন মামলার কাগজ এখনও হাতে পাইনি। মামলার কাগজ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাসময়ে প্রতিবেদন প্রেরন করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন