মঠবাড়িয়ায় কৃষকের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নে নবী হোসেন নামে এক কৃষকের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। তিনি দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের মৃত আফেজ উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র।তাকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।এছাড়াও হামলাকারীরা পরের দিন সকাল ৮টার দিকে তার বাড়ির একাংশ দখল করে নিয়েছে।বিষয়টি মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ও আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ককে অবগত করা হয়েছে।

জানা গেছে, হামলা ও লুটপাটের শিকার নবী হোসেনের সাথে তার আপন ভাই শহীদের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। জমি সংক্রান্ত এ বিরোধের জের ধরে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় শহীদ হাওলাদার এর আগে থেকেই বিভিন্ন সময় হামলা ও জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে।ইতোপূর্বে থানা পুলিশ একাধিকবার এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিহত করেছে। সম্প্রতী সরকার পরিবর্তনের চলমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে হত্যা মামলার আসামি ও ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে নবী হোসেনর ওপর হামলা চালানো হয়েছে এবং স্বর্ণালংকার সহ কাগজপত্র, বিভিন্ন মালামাল ও গরু-বাছুর তারা লুটপাট করে নিয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী নবী হোসেন ও তার স্ত্রীর বলেন,ঘটনার দিন প্রতিপক্ষ শহীদ ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে গেট ভেঙে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে।তাদের দেখতে পেয়ে ঘরের দরজা আটকিয়ে থানায় ও ৯৯৯ এ ফোন দেই।কিন্তু দেশের অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে আসতে না পারায় হামলাকারীরা আমাকে জিম্মি করে আমাকে মারধর করে এবং আমার পা ভেঙে ফেলেছে। মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে সাদা কাগজে তারা আমার স্বাক্ষর নিয়েছে। গোয়ালঘর থেকে কালো রংয়ের একটি বাছুর সহ লাল রংয়ের একটি গাভী নিয়ে গেছে। স্টিলের আলমিরা ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং ট্রাংক ভেঙে কাপড়চোপড় নিয়ে গেছে।স্বর্ণালংকার সহ গরু ও বিভিন্ন মালামালের সন্ধান পেলেও থানা পুলিশের কার্যক্রম সীমিত থাকায় এসব মালামাল এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম রাজিবকে একাধিকবার ফোন দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।