মঠবাড়িয়ায় মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেওয়ায় যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেওয়ায় আলামিন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টা মামলা করেছে প্রতিপক্ষরা। শাহাদাত হোসেন আলামিন (৩৫) ছোট মাছুয়া গ্রামের মৃত মজিবুর রহমান আকনের ছেলে। এছাড়াও ওই একই এলাকার মনু খাঁর ছেলে মোঃ খলিল খাঁকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
গত ৬ জুন পিরোজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলাটি দায়ের করেন ছোট মাছুয়া গ্রামের হেমায়েত হাওলাদারের ছেলে মোঃ জাকির হোসেন শাহিন। বিচারক ( জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ আসাদুল্লাহ মামলাটি আমলে নিয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার (১৭ জুন) মামলাটি সরেজমিনে তদন্ত করেন মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা আসামি পক্ষের কোন কথা শুনতে না চাইলেও তারা বলার চেষ্টা করেন।এতেও ব্যর্থ হয়ে আসামি পক্ষের লোকজন এবং এলাকাবাসী মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে মঠবাড়িয়া থানার ওসিকে সরেজমিনে তদন্ত করার দাবি জানান।
জানা গেছে, হেমায়েত হাওলাদার গংদের হয়রানির প্রতিবাদে গত ৪ জুন মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধন থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে কয়েকজন নারী ও শিশুকে মারধরও করে হেমায়েত হাওলাদার গং। ওই মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী আলামিন। মানববন্ধন শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রতিপক্ষরা তাদের পরিবারের একজনকে ভিকটিম বানিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসে।এরপর থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে কোর্টে মামলা করে। আলামিনকে এ মামলার ১ নং আসামি করা হয়।
অন্যদিকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার ২ নং আসামি যাকে করা করা হয়েছে তার নাম খলিল খাঁ। খলিলদের সাথে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার বাদী পক্ষের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। এ মামলার কয়েকদিন আগে খলিলের ভাই জলিলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। এরপর আবার ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দিয়ে হয়রানিকে মগের মুল্লুকের মত মনে করছেন এলাকাবাসী। হেমায়েত গংদের হয়রানির শিকার হয়ে এখন অনেকটা নিঃস্ব খলিল ও জলিলের পরিবার।
মামলায় উল্লেখ করা হয়,আসামি আলামিন অন্য আসামির সহযোগিতায় বাদির বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তাকে বাড়ির পুকুরের পাড় থেকে মুখ চেপে সুপারি বাগানে নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকচিৎকার দিয়ে ধর্ষণ থেকে রক্ষা পায় সে। এসময় আসামিরা তাকে ধর্ষণ করতে না পেরে কিল ঘুষি মেরে নীলা ফুলা জখম করে চলে যায়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, সরেজমিনে তদন্তের সময় আসামি পক্ষের লোকজনের সাথে আমার দেখাও হয়নি এবং কথাও হয়নি। যদি তারা থানায় আসে তাদের কথা অবশ্যই শুনবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন