মঠবাড়িয়ায় ৪০ লাখ টাকার হেরিংবোনের রাস্তার ইট ধসে জনদুর্ভোগ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালী কার্পেটিং রাস্তা থেকে ইউপি সদস্য হারুন জোমাদ্দারের বাড়ি অভিমুখী ৫০০ মিটার হেরিংবোন বন্ডের ইটসোলিং রাস্তার ইট ধসে পড়ায় জনদুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। এজিংয়ের পাশে পর্যাপ্ত মাটি ভরাট না দিয়ে দায়সারাভাবে প্রস্থ ১০ ফুটের বিপরীতে ৯ ফুট এবং দৈর্ঘ্য ৫০০ মিটারের বিপরীতে ৪০০ মিটার কাজ করে বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদার।
রাস্তাটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স জেসমিন বিল্ডার্স।এর স্বত্বাধিকারী মোঃ মিজানুর রহমান, সাবেক কমিশনার, ৫ নং ওয়ার্ড,মঠবাড়িয়া পৌরসভা। ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাইয়ুম রাস্তাটি উদ্বোধন করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট অফিস ম্যানেজ করে কোনরকম ইট বিছিয়ে রাতারাতি রাস্তার কাজ শেষ করে বিল উত্তোলন করে নেয় ঠিকাদার।রাস্তাটির ২ পাশে ২ ফুট মাটি ভরাট দেওয়ার কথা থাকলেও আদৌ কোন ভরাট দেওয়া হয়নি। ১০ হাজার পুরনো ইট স্টিমেটে (প্রাক্কলন) ধরা না থাকলেও ঠিকাদার ওই ইট নতুনভাবে ব্যবহার করেছে।এতে প্রায় ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ১০ ফুটের জায়গায় ৯ ফুট চওড়া করায় ২ লাখ টাকার ইটের দাম কাজ না করেই পকেটে নিয়েছে ঠিকাদার।১০০ মিটার ইটসোলিং অসমাপ্ত রেখে ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী ৬ ইঞ্চি বক্স কাটিংয়ে বালু ভরাটের কথা থাকলেও গড়ে ৩ ইঞ্চি বালু দেওয়া হয়েছে। ২টি কালভার্ট না করায় কৃষকরা ওই রাস্তা দিয়ে কোন পণ্য পরিবহন করতে পারছে না।রাস্তাটির উদ্বোধক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাম উল্লেখিত ফলকটিও দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশে উপড়ে পড়ে আছে।
ঠিকাদার মিজানুর রহমান (মিজান কমিশনার) রাস্তাটির নির্মান কাজে অনিয়মের ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারে নি। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন তালুকদার জানান, বিষয়টি কিছুটা অবগত আছি।সরেজমিনে গিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাইয়ুম জানান,তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন