মঠবাড়িয়ায় ৭০ বছরের ভোগদখলীয় জমিতে কাঁটাতাঁরের বেড়া দিয়েছে প্রতিপক্ষরা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার গুদিঘাটা এলাকায় ভোগ দখলীয় জমিতে জোরপূর্বক কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সময় থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে মঠবাড়িয়া তুষখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে গুদিঘাটা এলাকার আউয়াল পহলানের জমিতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের উত্তর মিঠাখালী মৌজার খতিয়ান নং-৫৪৭ দাগ নং-১১০৬,১১০৭ এর ১০০ শতাংশ জমি ৭০ বছর ধরে ভোগ দখলে আছে আউয়াল পহলান।সম্প্রতী হঠাৎ করে ওই জমি থেকে ১০ শতাংশ জমি দাবি করে কামাল,ওবায়দুল কাজী এবং সোনা মিয়ার ছেলে আলম গং।খানকায়ে নেছারিয়ার পক্ষে তারা এ জমি দাবি করে।

এদিকে গুদিঘাটা খানকায়ে নেছারিয়ার পক্ষে পরিচালনা কমিটি এবং আউয়াল পহলান গংদের মধ্যে ১৯৯৫ সালে ওই জমি নিয়ে একটি রোয়েদাদ তৈরি হয়।রোয়াদাদে উল্লেখ করা হয়, উত্তর মিঠাখালী মৌজার ৫৪৭ নং খতিয়ানের দাগ নং-১১০৬, ১১০৭ থেকে ১০ শতাংশ জমি গুদিঘাটা খানকায়ে নেছারিয়া পাইতে পারে।এ জমি আউয়াল পহলানের দখলে রয়েছে। এখান থেকে ১০ শতাংশ জমি ছাড়িয়া দিলে আউয়াল পহলান গংদের বসবাস ও চলাচলে বিশেষ অসুবিধা হয়।সেজন্য শালিসদারগন মানবিক কারনে উক্ত ১০ শতাংশ জমির বিনিময়ে ওই একই মৌজার ১১৭২ নং খতিয়ানের ১৭৬৪ দাগ থেকে গুদিঘাটা খানকায়ে নেছারিয়ার নামে এওয়াজ বদল করে দেয়।২৮ বছর ধরে এ এওয়াজ বদল ঠিক ছিল।কিন্তু ইদানিং খানকায়ে নেছারিয়ার নতুন কমিটি ওই এওয়াজ বদল না মেনে আউয়াল পহলানের বাড়ির ভিতর ১০ শতাংশ জমি দখল করার চেষ্টা করে।এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। কতক জমিতে ইতোমধ্যে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে চলাচলের পথ ও ব্যবহার্য্য পুকুর রয়েছে।

ভুক্তভোগী আউয়াল পহলান জানান,প্রতিপক্ষরা শালিস ব্যবস্থা মানে না। শনিবার ঘটনার দিন সকালে তারা জমি দখলের জন্য অর্ধ শতাধিক লোকজন জড়ো করে।বিষয়টি টের পেয়ে থানায় জানালে এসআই মিজান ঘটনাস্থলে আসে। প্রতিপক্ষরা পুলিশের সামনেই জোরপূর্বক কাঁটা তারের বেড়া দিয়েছে।

গুদিঘাটা খানকায়ে নেছারিয়ার পরিচালা কমিটির সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম ইদ্রিস জানান,আউয়াল পহলানের বাড়ির ভিতর খানকাহ’র জমি আছে।কিন্তু খানকাহ’র ভোগ দখলে আউয়াল পহলানের জমি আছে কিনা তা আমার জানা নেই।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান,এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।