মঠবাড়িয়া পৌরসভায় পানি প্রকল্পে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া পৌরসভার অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পানি প্রকল্পের অনিয়ম তদন্তে ৩১ জুলাই একটি কমিটি এবং পৌরসভার কর্মচারীদের প্রোভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচ্যুইটির টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ৩ আগস্ট আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসকের নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং জরুরী ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন,দু’টি তদন্ত কমিটিতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাকিল সরোয়ারকে প্রধান করা হয়েছে।পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বলরাম ঘোষ সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
পানি প্রকল্পের অনিয়মে তদন্ত কমিটির সদস্য হিসবে উপজেলা প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম ও জনস্বাস্থ্য অফিসের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার লিটনের নাম রয়েছে। অন্যদিকে প্রোভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচ্যুইটির বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মনসুর হেলাল ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমানের নাম রয়েছে।
পানি প্রকল্পের অনিয়মের সাথে জড়িত নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস ছালেক মঠবাড়িয়া পৌরসভা থেকে বদলি হয়ে প্রথমে মূলাদী এবং বর্তমানে গৌরনদী পৌরসভায় কর্মরত রয়েছেন।অন্যদিকে ওই সময়ের পৌর মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে আব্দুস ছালেক জানান,আমি বদলি হওয়ার সময় সকল কাগজপত্র উপ সহকারী প্রকৌশলী ফারজানা ইয়াসমিনের কাছে হস্তান্তর করে এসেছি।তার কাছে পানি প্রকল্পের ফাইল সহ সকল মালামাল সংরক্ষিত আছে।
অন্যদিকে প্রোভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচ্যুইটির টাকা আত্মসাতের সাথে জড়িত পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ মঠবাড়িয়া পৌরসভা থেকে বদলি হয়ে বর্তমানে গৌরনদী পৌরসভায় কর্মরত রয়েছেন।এ অনিয়মে জড়িত অন্য ৩ জনের মধ্যে হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান পিরোজপুর পৌরসভায় এবং হাবিরুর রহমান ও মোঃ শাহআলম মঠবাড়িয়া পৌরসভায় কর্মরত থাকা অবস্থায় অবসর গ্রহন করেছেন।
হারুন অর রশীদ জানান,একজনের টাকা আরেকজনের ব্যক্তিগত হিসেবে জমা করার কোন সুযোগ নেই। কেবলমাত্র বকেয়া গ্রাচ্যইটির আংশিকবাবদ কিছু টাকা পৃথকভাবে ৪ জনের হিসেবে জমা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক আব্দুল কাইয়ুম জানান, পৌরসভার অনিয়মের সাথে জড়িত কেউ এক বিন্দু পরিমান ছাড় পাবে না।ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন