মঠবাড়িয়া পৌরসভার পানি প্রকল্পের ফাইল গায়েব : ৩ জনকে শোকজ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া পৌরসভার পানি প্রকল্পের ফাইল গায়ের করা হয়েছে।উন্নয়ন প্রকল্পের এ ফাইল গায়েরের ঘটনায় ৩ জনকে শোকজ করা হয়েছে। এ তিনজনের মধ্যে সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস ছালেক বর্তমানে গৌরনদী পৌরসভায় কর্মরত রয়েছেন। টিউবওয়েল মেকানিক বাবুল মিয়া বাধ্যতামূলক অবসরে এবং নক্সাকারক সেলিম মল্লিক বর্তমানে মঠবাড়িয়া পৌরসভায় কর্মরত রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া পৌর শহরে সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ২০১৬-১৭ ও ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি পাম্প হাউজ ও দুটি ওভার হেড ট্যাংক সহ এমএস পাইপ স্থাপন করা হয়। ওই সময়ের পৌর মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস এবং নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস ছালেক পরষ্পর যোগসাজশে ঢাকার ধোলাইখালে ড্রেজার কাজে ব্যবহার করা পুরাতন এমএস পাইপ জোড়াতালি দিয়ে রং করে ব্যবহার করে।আব্দুস ছালেক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে এ প্রকল্প থেকে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বরিশাল শহরে অত্যাধুনিক বাড়ি নির্মাণ করেন।বর্তমানে তিনি দুদকের মামলার আতঙ্কে রয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, ২০২১ সালে পানি সরবরাহের ২ বছর যেতে না যেতেই এমএস পাইপ লিক হতে থাকে।পৌরসভা থেকে ৬ কি.মি. দূরে সূর্যমণি বধ্যভূমির পাশে ১০ একর জমির মধ্যে কিছু জমি অধিগ্রহণ করে বাকি জমি দখল করে অধিগ্রহন দেখিয়ে সরকারের ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এরমধ্যে কিছু খাস জমিও রয়েছে। এছাড়া ওভার হেড ট্যাংকের জমি মেয়রের ভাইয়ের নিকট থেকে স্থানীয় মূল্যের চেয়ে ৫ গুন বেশী টাকায় অধিগ্রহণ করা হয়েছে।এখানেও কিছু জমি দখল করা হয়েছে। বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে ৫০ লাখ টাকার ১টি জেনারেটর কিনে ১ কোটি টাকা ভাউচার দেখানো হয়েছে। আর এসব অপকর্ম ঢাকতেই ফাইল গায়েব করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস ছালেককে একাধিকবার ফোন দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং পৌর প্রশাসক আবদুল কাইয়ূম জানান, পানি প্রকল্পের ফাইল গায়েরের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৩ জনকে শোকজ করা হয়েছে। এটি একটি গুরুতর অভিযোগ। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন