মদনে ইউপি চেয়ারম্যান আত্মগোপনে সেবা থেকে বঞ্চিত জনগণ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে নেত্রকোনার মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েল। তিনি মদন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন ও দুই বার নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে।

সাফায়াত উল্লাহ রয়েলকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে সম্প্রতি বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। পরে ভোট চোর চেয়াম্যান আখ্যা দিয়ে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার লাগিয়ে দেওয়া হয়। গত এক মাস ধরে চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে না আসায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ।

এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার কাইটাইল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গেলে দেখা যায়, চেয়ারম্যানের কক্ষে তালাবদ্ধ। দরজায় ভোট চোর চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করার পোস্টার লাগানো। তাকে পাওয়া মাত্রই পুলিশকে খবর দেয়ার অনুরোধ জানানোর বিষয়টি পোস্টারে উল্লেখ রয়েছে। পরিষদের সচিব আব্দুল্লাহ আল মোক্তাকিন তার নিজ কক্ষেই অফিস করছেন। পাশেই আরেকটি কক্ষে তথ্য সেবা কেন্দ্রে কাজ করছেন উগ্যেক্তা সুজন মিয়া।

সেবা নিতে আসা মেহেদী হাসান জানান,‘ আমি পরিষদে আসছিলাম একটি কাগজে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। বেশ কয়েকদিন ধরে ঘুরেও চেয়ারম্যানের দেখা পাচ্ছি না। চেয়ারম্যান পরিষদে না আসায় আমার মতো অনেক লোকজন সেবা না পেয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।’

উগ্যেক্তা সুজন মিয়া জানান,‘ চেয়ারম্যান সাহেব পরিষদে আসেন না। কিন্তু গত এক মাসে আমি ১২ টি জন্ম নিবন্ধন করেছি। জন্ম নিবন্ধনে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নেই। শুধু সচিব স্বাক্ষর করেছে।’

ইউপি সচিব আব্দুল্লাহ আল মোক্তাকিন জানান, ‘চেয়ারম্যান সাহেব ৫ আগষ্ট থেকে ইউনিয়ন পরিষদে আসছেন না। তাঁর ফোনটি বন্ধ থাকায় কোন যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তবে এ পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা সুজন আমার নিকট থেকে ১০/১২টি জন্ম নিবন্ধনে স্বাক্ষর নিয়েছে তবে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নিয়েছে কিনা তা আমি জানি না।’

এ বিষয়ে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান,‘ কোন চেয়ারম্যান যদি অনুপস্থিত থাকে এবং জনসেবা ব্যহত হয় সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য সরকারের যে পরিপত্র আছে সেই আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

চেয়ারম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েলের ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।