মদনে কাজের মেয়ে ধর্ষনের শিকার, দুই ধর্ষক আটক
প্রতিনিধি মদন (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার মদন উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কাজের মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুকবার ধর্ষিতা নিজেই মদন থানায় এ অভিযোগটি দায়ের করেন। ধষর্ণের অভিযোগে দুই ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হল জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে ম্যাকানিক্স একদিল মিয়া (৪৬), কালা মিয়ার ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী ফজলুল হক (৪৫)। বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার ৬নং ওয়ার্ডে আশকিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ফজুলল হকের নিকট ৪১ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা যায়, খালিয়াজুরী উপজেলার গছিগাই গ্রামের কৃষক আব্দুল গনির মেয়ে (১৮) পৗরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেকুল মিয়ার বাসায় কাজের মেয়ে হিসেবে কাজ করতো। বৃদ্ধ মাসহ কাজের মেয়ে টিকে বাসা রেখে কাউন্সিলর পরিবারসহ সিলেট শ্বশুরালয়ে চলে গেলে এমন সুযোগে ধর্ষকরা কাজের মেয়েটিকে বিয়ের কথা বলে ফুসলিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হাওরের একটি পরিত্যক্ত বাসায় নিয়ে যায়। রাতে তাকে বাসায় খুঁজে না পাওয়ায় কাউন্সিলর সেকুলের লোকজন মদন থানায় অবগত করেন। ধর্ষক ফজলু মিয়াকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমেই সে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। পরে চাপ সৃষ্টি করলে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ রাতেই ওই ওয়ার্ডের হাওররের একটি পরিত্যক্ত বাসা থেকে তাকে উদ্বার করে। মেয়েটির স্বীকারোক্তিতে ফজলু মিয়া ও কালা মিয়াকে পুলিশ আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাজের মেয়েকে ধর্ষণের বিষয়টি ধর্ষকরা স্বীকার করেছে। এর আগেও কয়েকবার তাকে ধর্ষণ করেছে বলে তারা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়।
ওসি মোঃ শওকত আলী বলেন, কাউন্সিলর সেকুল মিয়া তার বাসার কাজের মেয়েটিকে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি তার লোকজন আমাকে অবগত করলে কাউন্সিলর সেকুলের আশ্রীত ধর্ষক ফজলু মিয়ার স্বীকারোক্তীতে হাওরের একটি ঘর থেকে কাজের মেয়েটিকে উদ্ধার করি। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি নিজেই তাদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন