মদনে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে খড়ের লাছ পুড়ে ছাই

নেত্রকোণা মদন উপজেলা কাইটাইল ইউনিয়নে সুতিয়ার পাড় গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মোঃ হারুন রশিদ (৩৫) সাথে বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের তারই প্রতিবেশী মৃত আমজদ আলী ছেলে কাচু মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল।

শনিবার ( ২৯ জুলাই) এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে তাদের মধ্যে কথা কাটা কাটি হয়, পরবর্তীতে রাতে সেকান্দর(৬৫) কেনু মিয়া (৫৫) তারা মিয়া (৭০) সুরুজ মিয়া (৬০) উভয় পিতা আমজদ আলী।

তারা দল বেধে রাত আনুমানিক ১ ঘটিকার সময় দেশিও দা, লাঠি,বল্লম নিয়ে হারুন রশিদ এর বাড়িতে আক্রমণ করে, সেই সুবাধে বিবাদীগণ উশৃংখল হইয়া বাদীর বসত ঘরে টিনের বেড়া কাটিয়া ফেলে ও ধান বীজতলা পারাইয়া নষ্ট করে, এবং বীজতলা বেড়ার নেটের জাল চুরি করিয়া নিয়ে যায়।

গরুর খাবারের খড় ( লাছ) আগুনে পুড়িয়ে দেয়, যার মূল্য ৩০ হাজার টাকা।স্থানীয় লোকজন মদন ফায়ার সার্ভিসের সংবাদ দিলে রাত আনুমানিক ৩,৩০ ঘটিকায় আগুননিযন্ত্রণে আনে।

বাদী হারুন রশিদ জানান, তারা গায়ের জোরে আমার বসত বাড়ির মধ্যে দিয়ে রাস্তা দাবী করছে।আমার বাড়িতে রাত ১,৩০ ঘটিকার সময় দেশিও অস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ঘরের বেড়ার টিন কেটে আমাকে মেরে ফেলার জন্য রাতে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়, এবংৃৃ আমার ধানের বীজতলা পারাইয়া নষ্ট করে ও গরু খাবারের খড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে প্রায় আমার ৪০ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

কাইটাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাফায়ত উল্লাহ রয়েল বলেন, আমি শুনেছি ঝামেলা হয়েছে, যদি খড়ে লাছ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়ে থাকে তদন্ত করে পাওয়া যায়, তবে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া জন্য সুপারিশ করব।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তাওহীদুর রহমান বলেন ঊভয় পক্ষের, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।