মধ্যপ্রাচ্য সফরের ঘোষণা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনর
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2022/06/IMG_20220617_003904.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফরের ঘোষণা দিলেন জো বাইডেন। খুব শীঘ্রই তাঁর সফর শুরু করতে যাচ্ছেন। এটি এমন একটি সফর যাকে বিশ্লেষকরা বলছেন যে একটি জটিল অঞ্চলে তার প্রতিবেশীদের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সূক্ষ্ম প্রক্রিয়ার সাথে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ ওয়াশিংটনের জন্য ওই অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্ব অনেক বেশি।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজ ঘোষণা করেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শীঘ্রই ইসরাইল, পশ্চিম তীর এবং সৌদি আরবে সফর করবেন।
জুলাইয়ের মাঝামাঝি চার দিনের সফর শুরু করে বাইডেন প্রথমে ইসরাইলে যাবেন। সেখানে তিনি ইসরাইলি নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সাথেও আলাপ-আলোচনা করবেন যাতে করে বিভাজিত পক্ষগুলির মধ্যে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য তার সমর্থন জানানো যায়।
কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি হওয়ার লক্ষণ না দেখানোর কারণে , ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
যদিও বাইডেন আর্থিক সাহায্য পুনরুদ্ধার এবং কূটনৈতিক যোগাযোগ পুনরুদ্ধারসহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি বৈরী হিসাবে দেখা ট্রাম্পের কিছু নীতিকে পরিবর্তন করেছেন, তবুও তিনি গোলান মালভূমিতে ইসরাইলি সার্বভৌমত্বের যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি বজায় রেখেছেন এবং জেরুজালেমে আমেরিকান দূতাবাস বহাল রেখেছেন। ওবামা প্রশাসনে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন নীতির সমালোচনা সত্ত্বেও, বাইডেন ইসরাইলি বসতি সম্প্রসারণ বন্ধ করার জন্য কোনও চাপ প্রয়োগ করেননি।
এরপর ইসরাইল থেকে তিনি জেদ্দার দিকে রওনা হবেন, সৌদি আরবের ওই শহরটিকে ইসলামের দুটি পবিত্র স্থান, মক্কা এবং মদিনার প্রবেশদ্বার হিসাবে দেখা হয়। ইসরাইল এবং সৌদি আরবের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ২০১৭ সালের রিয়াদ থেকে তেল আবিবের ঐতিহাসিক ফ্লাইটের পর এটি হবে ইসরাইল থেকে কোনও আমেরিকান প্রেসিডেন্টের প্রথম সরাসরি ফ্লাইটসেই দেশে যে দেশটি ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় না।
জেদ্দায়, তিনি তেল-সমৃদ্ধ রাজ্যের নেতাদের সাথে দেখা করবেন – কেবল তাঁর প্রত্যক্ষ সহপক্ষ বৃদ্ধ ও অসুস্থ্য বাদশাহর সাথেই নয় – বরং যুবরাজের সাথেও তাঁর দেখা হবে, যাকে নীতির মূল পরিচালক এবং প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের অন্যতম শেষ রাজতন্ত্রের নেতা হিসাবে দেখা হয়।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট এই সফরে বাদশাহ সালমান এবং [গাল্ফ কো-অপারেশন কাউন্সিল প্লাস মিশর, ইরাক এবং জর্ডান] শীর্ষ সম্মেলনের জন্য আমাদের সৌদি আয়োজকদের নেতৃত্বসহ এক ডজনেরও বেশি নেতার সঙ্গে দেখা করবেন। হ্যাঁ, আমরা আশা করতে পারি প্রেসিডেন্ট বাইডেন সৌদি যুবরাজের সঙ্গেও দেখা করবেন।”ভিওএ
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন