মধ্যবয়সি বাঙালি নারীদের ৭টি প্রধান সমস্যা
আগে বলা হত, এরা সংসারের বোঝা। এখন কি সময় পাল্টেছে? না, একইরকম রয়েছে? বাঙালি পরিবারে অবিবাহিতা মধ্যবয়সিরা সম্ভবত আজও ‘সমস্যা’র নামান্তর। খবর এবেলার।
১. নিরাপত্তাহীনতা: পথে একাকী মহিলা কি আজও নিরাপদ? সম্ভবত নয়। তা হলে ঘরে-বাইরে মধ্যবয়সি একাকী মহিলার অবস্থা কল্পনা কি খুব কঠিন? যে সমাজে বিবাহিতারাই সুরক্ষিত বোধ করেন না, সেখানে অবিবাহিতাদের নিরাপত্তার অবস্থা আরও খারাপ হবে, সেটাই স্বাভাবিক।
২. অর্থনৈতিক নিরাপত্তা: চাকরি থাকলে তাও একটা ভরসা থাকে। কিন্তু বর্তমানে চাকরির বাজার বেহাল। রোজগারের পথ না-থাকলে তাকে পরের মুখাপেক্ষী থাকতে হবে। মাঝবয়সে পৌঁছে অর্থের জন্য অন্যের উপরে নির্ভরশীল হতে হলে জীবনে অনেক হিসেবই যে নতুন করে কষতে হয়।
৩. চাকরি থাকলেও সমস্যা: কর্মক্ষেত্রে অবিবাহিতা, স্বাধীনচেতা মহিলাদের সমস্যাটা একটু বেশিই। অফিসে তাদের নিয়ে বিবিধ কানাঘুষো ঘুরে বেড়ায়। বিশেষ করে পুরুষদের কাছে এদের ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠে চ্যালেঞ্জের সামিল। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাধার মুখোমুখি হতে হয়।
৪. কামনা-লালসা: বলা হয়, মাঝবয়সটা মেয়েদের পক্ষে সবথেকে বিপজ্জনক। শরীরের নিয়ম মেনে এই সময়ে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে, যা সবসময়ে হয়তো মানসিক দিক থেকে সমপর্যায়ের পুরুষদের আকর্ষণ করে না। সুযোগ নেওয়ার জন্য ও়ৎ পেতে থাকতেই পারে অনেকে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যায়, জীবনের না-পাওয়াগুলো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিতে অনেক মহিলা ফাঁদে পা দেন। ডেকে আনেন চরম সর্বনাশ।
৫. বিয়ের চাপ: পরিবারের তরফে বিয়ের চাপটা এই বয়সে সবথেকে বেশি বেড়ে যায়। বিয়ে করতে না-চাইলেও অনেকে এই বয়সে এসে শেষ পর্যন্ত পারিবারিক চাপে বিয়ে করতে বাধ্য হন। সেই অভিজ্ঞতা অনেক ক্ষেত্রেই সুখের হয় না।
৬. সময়ের চাপ: বেশিরভাগ মহিলাই ‘‘মা’’ ডাক শুনতে উন্মুখ থাকেন। জীবনের একটা সময়ে বিয়ে না-করার পণ অনেক ক্ষেত্রেই মাঝবয়সে এসে ভেঙে যায় স্রেফ এই কারণে। কিন্তু মা হওয়ার জন্য এই বয়স হয়তো সবার ক্ষেত্রে সঠিক নয়। শারীরিকভাবে তো বটেই, সার্বিক বিচারেও। অনেকে সন্তান দত্তক নেন, সিঙ্গল মাদার হিসেবে তার লালনপালন করতে থাকেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও বিবিধ সমস্যা চলে আসে।
৭. চরিত্র নিয়ে টানাটানি: সর্বশেষ এবং সবথেকে ভয়ঙ্কর ব্যাপার। অনেক পুরুষই মধ্যবয়সি অবিবাহিতা মহিলা দেখলে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেন। না-পারলে চরিত্রে কালির ছিটে দেওয়ার তোড়জোড়। অফিসে ব্যক্তিত্বের কাছে হার মানলেও একই ঘটনা। অবিবাহিতা মহিলাদের প্রতি পুরুষ সহকর্মীদের আকর্ষিত হতে দেখলে মহিলা সহকর্মীদের অনেকে সেই কাজই করেন। আবার ভাল কাজ করে প্রোমোশন পেলেও ধেয়ে আসে বাঁকা কথা।
পৃথিবী যেন পুরোটাই ভাগাড়। চারিদিকে শুধু থরে থরে সাজানো শকুনের সারি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন