মনোনয়ন প্রায়ই চূড়ান্ত, ফিনিশিং টাচটা বাকি : কাদের
আওয়ামী লীগ থেকে কারা মনোনয়ন পাবেন সেটি প্রায়ই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, মনোনয়ন নিয়ে সব কিছুই ঠিক, এখন শুধু ফিনিশিং টাচটা বাকি আছে। আশা করছি, ৪-৫ দিনের মধ্যেই তালিকা দিতে পারব।
রোববার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
১৪ দল, যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় পার্টি থেকে আসন বণ্টন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেয়া হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের অ্যালায়েন্সের সঙ্গে আলোচনা করে মনোনয়নের বিষয়টি ফাইনাল করা হবে। আমাদের অলমোস্ট ক্লোজড। তবে অ্যালায়েন্সের সঙ্গে আলোচনা করে একসঙ্গে ঘোষণা করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা নমিনেশনটা ঠিক করেছি জরিপ রিপোর্টের ভিত্তিতে। যাদের ছয় মাস আগেও খারাপ ছিল তারা হয়তো এখন ভালো হয়েছে। তাই তাদের নমিনেশন দেয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
‘তবে আগে যারা ছিল, তাদের মধ্যে থেকে বাদ পড়েছে কম’ জানিয়ে তিনি বলেন, গত নির্বাচনে ১৪ দলের যেসব প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন, তারা এবারও মনোনয়ন পাবেন এটি মোটামুটি নিশ্চিত।
তিনি বলেন, আমরা উইনেবল ও ইলেক্টেবল প্রার্থী চাই। যিনি উইনেবল ও ইলেক্টেবল প্রার্থী বলে বিবেচিত হবেন, তাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে যদি আওয়ামী লীগের বাইরে ১৪ দলের অন্য কাউকে বেশি সম্ভাবনাময় মনে হয়, তবে তাকেই আমরা মনোনয়ন দেব। সেই প্রার্থী জাতীয় পার্টি কিংবা অন্য কোনো শরিক দলেরও হতে পারে।
জোটের শরিকদের কত আসন দেবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী যেটি বলেছেন তা হল- ৬৫-৭০ আসন শরিকরা পাবেন। তবে আলোচনা করে যদি মনে হয় ইউনেবল প্রার্থী বেশি আছে, তা হলে সেটি বাড়ানো যেতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘যেমন ধরুণ- মাশরাফি বিন মুর্তজাকে মনোনয়ন দিলে সেখানে যিনি এখন ইলেকটেড প্রার্থী আছেন, তাকে নমিনেশন দেয়া যাবে না। তা ছাড়া ১৪ দলের ইলেকটেড যারা আছেন, তাদের বাদ দেয়ার চিন্তা নেই। যদি একান্ত কারও পজিশন খারাপ হয়, সেটি ভিন্নকথা।
দণ্ডিত হওয়া সত্ত্বেও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি জাতির কাছে বলতে এখন পারি, একজন দণ্ডিত পলাতক আসামি এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারে কিনা?
নির্বাচন কমিশনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দুটি মামলায় দণ্ডিত পলাতক এ রকম কেউ এভাবে ভিডিও কনফারেন্স করে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে কিনা- আমি সেটি নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাইছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন