মব সৃষ্টি না হলে কি নুরুল হুদাকে গ্রেফতার করত পুলিশ, প্রশ্ন রাশেদের

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যেই আছে আওয়ামী প্রেতাত্মা বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন তিনি।

পোস্টে রাশেদ খান লেখেন, মব সৃষ্টি হওয়ায় নুরুল হুদাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। মব সৃষ্টি না হলে কি নুরুল হুদাকে গ্রেফতার করত? না করত না। তার প্রমাণ রকিব উদ্দীন ও হাবিবুল আউয়াল! (বুধবার দুপুরে সাবেক সিইসি হাবিবুল আওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে) এখন পর্যন্ত তাদের দুজনকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গ্রেফতার করার বিষয়ে পুলিশকে কোনো তাগাদা দেয়নি!

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায় জামায়াত
সাবেক সিইসি নুরুল হুদার ৪ দিন রিমান্ড মঞ্জুর
তিনি বলেন, মবের বিষয়ে আমি সবসময় বিপক্ষে মতামত দিয়েছি যে, গণ-অভ্যুত্থানের পর শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় মব কখনোই কল্যাণ বয়ে আনবে না। কিন্তু সরকার কি নিজ থেকে আওয়ামী অপরাধীদের গ্রেফতার করছে? সরকার সবসময় সুশীল ভূমিকা রাখছে।

এর অন্যতম কারণ উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যেই রয়েছে আওয়ামী প্রেতাত্মা! তারা কখনোই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী না। এর পেছনে তাদের কোনো সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, সেটি নিয়ে সন্দেহ লাগে।

আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতারে সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে রাশেদ খান বলেন, কেন শেখ পরিবারের কাউকে ধরছে না? কেন আওয়ামী লীগের ডামি এমপি, মন্ত্রীদের গ্রেফতার করছে না? কেন তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করছে না? কেন ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালের নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত কমিশনার, ডিসি, এসপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না? সরকারের এই দুর্বলতার কারণেই মব সৃষ্টি হচ্ছে।

মবের দায় সম্পূর্ণ সরকারের দাবি করে তিনি বলেন, সরকার যদি নিজ থেকে আওয়ামী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করত, তবে দেশটাতে এই বিশৃঙ্খলা দেখতে হতো না। জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের অংশ হিসেবেই নুরুল হুদার ওপর মব তৈরি হচ্ছে।

‘সরকার যদি নুরুল হুদাকে সময়মতো ধরত, তবে কি সেই মব তৈরি হতো? তাহলে মব উৎপাদন কে করছে? সরকার পরিকল্পিতভাবেই এই মব উৎপাদন করছে’ বলে অভিযোগ করেন তরুণ এই রাজনীতিবিদ।