ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মৌলভি শিক্ষক শাহজাহান জাল কাগজ বানিয়ে অধ্যক্ষ
ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জের বৈরাটী আলিম মাদরাসায় মৌলভি শিক্ষক শাহজাহান সুযোগে দুর্ণীতির আশ্রয় নিয়ে জাল কাগজ বানিয়ে অধ্যক্ষ দাবি করে অধ্যক্ষের এমপিও ভুক্তির জোর চেষ্টা ও কমিটি গঠনের চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। খবর নিয়ে জানাযায় বিগত সময়ে আওয়ামী সরকারের আমলে সাবেক এমপি মাহমুদ হাসান সুমনের ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে তার ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আবুল খায়ের কে মাদরাসার সভাপতি করে মৌলভি শাহজাহান!
অপরদিকে নিকটাত্বীয় পরিচয় দিয়ে যোগ্যতা না থাকা সত্বেও ভুয়া জাল কাগজ বানিয়ে বৈরাটী আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ পদটি দখল করে নেয় দূর্ণীতিবাজ মৌলভি শাহজাহান।বিগত সময়ে মাদরাসায় নির্বাচন না দিয়ে অবৈধভাবে কমিটি গঠন করায় বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড তৎসময়ে সেই কমিটি বাতিল করেন।শাহজাহান প্রতিষ্টানকে অবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বিগত সময়ে পত্রিকায় মাদরাসায় ভূয়া-জাল কাগজ দেখিয়ে সহকারি মৌলভি পদের শিক্ষক শাহজাহান অধ্যক্ষ বনে যাওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আলোচিত হয়। খবর নিয়ে জানা যায় এ মাদরাসায় ইতিপূর্বে (দাখিল শাখার) মৌলভি শিক্ষক মো সুলতান উদ্দিনের শুন্যপদে মোঃ শাহজাহান-১৯৯৪ ইং সালে নিয়োগ নেয়।
মৌলভী শিক্ষক পদ থেকে শাহজাহান একাদিকবার উচ্চতর স্কেল নিয়ে রর্তমানে বাইশ হাজার টাকা স্কেলে বেতন ভাতা উওোলন করছে।তার শিক্ষা জীবনে দাখিল, আলিম, ফাজিল (তিন শ্রেনিতেই) তৃতীয় বিভাগ রয়েছে। ইনডেক্স নং-৩৩৭৯৪৭ বেতন কোড-৯। তবে আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো তথ্য গোপন করে ভূয়া -জাল কাগজ বানিয়ে অধ্যক্ষ পদ দেখিয়ে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এম পি ও সিটে ২০২০ সালের জুন মাসে অধ্যক্ষ পদের নাম লাগিয়ে নেয়।
অথচ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্টান প্রবিধানমালা নিয়ম অনুযায়ি আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে হলে আরবি প্রভাষক পদের যোগ্যতা থাকার নিয়ম থাকলেও শাহজাহানের ক্ষেএে তা নেই। এলাকায় এনিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পড়ে শাহজাহান। অনিয়ম ঢাকতে শাহজাহান কৌশলে মাদরাসায় বিভিন্ন বিসৃ্ঙ্খলা সৃষ্টি করছে এলাকার লোকজন মনে করেন।এছাড়াও মাদরাসার আয় ব্যয়ের নেই কোন হিসাব নিকাশ।
লাখ লাখ টাকা বিনা ভাউচার ছাড়াই আত্বসাত করছে।এছাড়াও সরকার কতৃক টিউশন ফির টাকা শিক্ষকদের মাঝে বিতরণ না করে বছরের পর বছরের সব টাকাই হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা মৌলভি শাহজাহান।অপরদিকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের; কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের, মাদরাসা শাখা-২ থেকে ৫-ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ইং তারিখের ৫৭.০০.০০০০.০৮৫.২৭.০৩.২০১৮-৬৫ স্বারক মুলে শাহজাহানের অধ্যক্ষের এমপিও স্থগিত করনের জন্য মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে চিঠি দেন।
এলাকাবাসীর দাবি সুষ্ট তদন্ত করলে শাহজাহানের অধ্যক্ষ হওয়ার বিষয়টি বেড়িয়ে আসবে। তবেই মাদরাসার সুনাম রক্ষা পাবে। এবিষয়ে একাদিকবার যোগাযোগ করা হলেও শাহজাহানের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন