ময়মনসিংহের গৌরীপুরে চেয়ারম্যানের অপসারণ চাইতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে বিক্ষোভকারীরা
ময়মনসিংহের গৌরীপুরের রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-আমিন জনির অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করতে গিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (২৫ আগষ্ট) ঘটনা ঘটেছি রামগোপালপুর ইউনিয়নের পরিষদের সামনে এই।
জানা গেছে, ১৫ বছর ধরে গুম, খুন, বিচার বর্হিভূত হত্যা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার প্রতিবাদে রোববার বেলা সাড়ে ১০টায় রামগোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ শাহজালাল।
মিছিলটি রামগোপালপুর বাসস্ট্যান্ড বাজার প্রদক্ষিণ করে রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এসে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল-আমিন জনির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করে।
এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্ববর্তী পাওয়ার যোগেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে এসে চেয়ারম্যানের পক্ষ নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙা যাবে না, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কিছু করা যাবে না এমন দাবি তুলে।
এসময় দুপক্ষের পক্ষে মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে দলটির সিনিয়র নেতা-কর্মীরা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে শোনিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠায়।
এর আগে গত ২১ আগস্ট রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-আমিন জনির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পরিষদের ৮ জন ইউপি সদস্য ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়।
মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহজালাল বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদে হামলা-ভাংচুর করতে যাইনি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করে জনি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি জানাই। কিন্তু জনির চাচা পাওয়ার যোগেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান তার ভাতিজাকে রক্ষা করতে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরিষদে পাঠিয়ে আমাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়।
আমরা এই ঘটনার নিন্দা ও প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীদের বের করে নিয়ে যায়। জনিকে রক্ষা করতে শিক্ষার্থীদের পাঠিয়েছি এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।
রামগোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-আমিন জনি বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিক্ষোভকারীরা পরিষদে এসে বিশৃঙ্খলা করলে শিক্ষার্থীরা সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় সামনে দাঁড়িয়ে যায়। আর আমার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যরা যে অভিযোগ করেছিল সেটাও তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাকিল আহমেদ বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটিও তদন্ত করা হবে। এছাড়াও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের দেয়া অভিযোগটিও প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন