ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মাটি খুঁড়ে মিলল শত বছরের পুরাতন সিন্দুক

পরিত্যক্ত ঘরের মাটি খুঁড়ে মিলল লোহার সিন্দুক। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পুরাতন একটি টিনসেডের ঘরের মাটি খুঁড়তে গিয়ে কোদালের আঘাতে সন্ধান হয় ওই সিন্দুকের। তবে ওই সিন্দুকের ভিতর কি আছে তা জানতে ও দেখতে উৎসুক শত শত মানুষের ভিড় জমে সেখানে।

স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলার পৌর শহরের পশ্চিম দাপুনিয়া এলাকায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১২ সালে। সেখানে বেশ কয়েকটি টিনের ঘর থাকলেও সবগুলি বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।

সাব-রেজিস্ট্রিার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁর মূল ভবনের পাশে রয়েছে পরিত্যক্ত টিনের ঘরগুলো। সেখানে বসে দলিল লেখকরা তাঁদের কাজকর্ম করতো। কয়েকদিন পূর্বে মূল ভবনের সামনের একটি টিনসেড ঘর ভেঙ্গে ফেলা হয়।

এ অবস্থায় ওই জায়গায় নতুন ভবন করার জন্য সোমবার সকাল থেকেই শ্রমিকরা কাজ করে আসছিল। এর মধ্যে শ্রমিকরা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে গেলে প্রচন্ড শব্দ হয়। সৃষ্টি হয় এক ধরনের কৌতুহলের। পরে এ ঘটনাটি জানাজানি হলে সর্বত্রই ব্যাপক প্রচার হয়। লোকমুখে তখন প্রচার হয় মাটির নিচে সিন্দুকে মূল্যবান জিনিসপত্র থাকার সম্ভবনা আছে। ওই সময় ঘটনাটি দেখতে লোকজন হুমড়ী খেয়ে পড়ে।

এ অবস্থায় ঘটনাটি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে অবহিত করে বেশ কয়েক ঘন্টা মাটি খুঁড়ার পর সিন্দুক বের করে আনা হয়। পরে সাব-রেজিস্ট্রার এর সামনে শাবল দিয়ে সিন্দুকের দরজা খোলে দেখা যায় বেশ কয়েকটি চাবি, পুরাতন দলিল ও একটি এফিডেফিটের কাগজ রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ওই সিন্দুকটি নষ্ট হয়ে গেলে তা মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল। তবে সিন্দুকটির বয়স যে শত বছরের উপরে তা এক রকম নিশ্চিত।

গৌরীপুর সাব-রেজিষ্ট্রার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, টিনশেডের একটি রেকর্ড রুম ছিলো। এটি ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো। ১৯৮০ সালে ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় সিন্দুক দুটি মাটির নিচে সেখানেই রেখে দেওয়া হয়েছিলো। পরে সেখানে টিনশেড নির্মাণ করে দলিল লেখকরা কাজ করতো।

কিছুদিন পূর্বে টিনশেডটি সরিয়ে নেওয়া হলে সিন্দুক দুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো। আজকে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সিন্দুক দুটি মাটি খুঁড়ে বের করা হয়েছে। এখন এগুলো মূল ভবনের রেকর্ডরুমে রাখা হয়েছে।