ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ৫ দফা দাবিতে কৃষক সমিতির স্মারকলিপি প্রদান

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ৫ দফা দাবিতে উপজেলা নির্বাহী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি উপজেলা শাখা। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ৫ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম.সাজ্জাদুল হাসান।

৫ দফা দাবিগুলো হলো- সার ডিলারদের দৌরাত্ম বন্ধ করে সরকারি দামে সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, নকল অনু সার ও কীটনাশক বিক্রি বন্ধ করা, ৫০-১০০ শতক জমিতে কৃষি সেচে আবাসিক মিটার ১ ঘোরা মোটর ব্যবহারে শর্তহীন অনুমতি, গৌরীপুরে একটি সবজি সংরক্ষণাগার (হিমাগার) তৈরি করা, সরকারি প্রণোদনা যাতে প্রকৃত কৃষকরা পায় তার জন্যে চেয়ারম্যান কোটা ও দলীয় কোটা বাদ দেয়া, কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্যে গৌরীপুর পৌরসভাসহ সকল খাল ও জলাশয় খনন এবং অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা।

স্মারকলিপি প্রদান পরবর্তী সমাবেশে উপজেলা কৃষক সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান ফকিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সিপিবি সাধারণ সম্পাদক হারুন আল বারী, কৃষক সমিতি উপজেলার সহ-সভাপতি অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন হেলিম।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গরিব ও বর্গাকৃষক যারা ২০-১০০ শতাংশ জমির ধান চাষ করে থাকে, তারা সেচ মিটার নামানোর জটিলতার কারণে আবাসিক মিটারে সেচ প্রদান করে থাকে, কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ময়মনসিংহ-৩ তাদের ১৫০০-২০০০ টাকা জরিমানা করার কারণে কৃষি খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও সার ব্যবসায়ীরা প্রতিবছরই সিন্ডিকেট করে সারের দাম বৃদ্ধি করে কৃষকের পকেট থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যায়। প্রতি বছরই সারের ব্যাপারটা নিয়ে কৃষি অফিসে ধর্ণা দিতে হয়। বর্তমান কৃষি কর্মকর্তা বেশি দামে সার বিক্রির মেমো চান প্রমাণ হিসেবে। কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকতারা নাকি মনিটরিং করছে, কিন্তু ডিলার কৃষককে কোনো মেমো দেয় না।

উপরন্তুু কৃষি অফিসের মাঠ কর্মকর্তারা দোকানে বসে থাকা অবস্থাতেই ডিলাররা বেশি দামে সার বিক্রি করছে। চলতি মৌসুমে প্রতি বস্তা সার ১৫০-২৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা কৃষকের কথা বিশ্বাস করেন না। তিনি বিশ্বাস করেন ডিলারের কথা। এখানেই হলো মূল সংকট।

এই সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহবাণ জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম সাজ্জাদুল হাসান বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে দ্রুত জরিমানার টাকা মওকূপ করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।