ময়মনসিংহের সোয়াই নদী রক্ষার দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ

সোয়াই নদী রক্ষার দাবিতে শ্যামগঞ্জ বাজারে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ অবরোধ কার্যক্রম চলে। এতে মহাসড়কে বিভিন্ন ধরণের যানবাহন আটকে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোয়াই নদীর খনন কাজ শুরু হয় গত বছর। প্রকল্পে বলা ছিল ৪৬ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। কিন্তু এ খনন কাজ শেষ হয়নি। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সোহাই নদী খননের কাজ শেষ করা। এ দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ সকাল থেকে মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে একটি সংগঠন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসী অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে থাকে। পরে দুপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে। তবে অবরোধকারীরা অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন জরুরী সেবাখাতের যানবাহনকে ছেড়ে দিতে দেখা যায়।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সমাজকর্মী সৈয়দ এস.এম ঋজু জানান, গত বছর সোয়াই নদীর ৪৬ কিলোমিটার খননকাজ শুরু হলেও মাঝপথে এসে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রকল্পে ঘুষ লেনদেন হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করে বলেন, জনগণকে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড বুঝিয়েছেন ওই অংশে নদী নেই, অথচ এটি সম্পূর্ণ প্রবাহমান নদী।

মইলাকান্দা ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি ইয়াসিন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে কাজটি শেষ করতে তালবাহানা করেছেন। নদী খনন কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।

আন্দোলনকারী অর্ক দত্ত বলেন, আজ আমরা মহাসড়ক অবরোধ করেছি। দ্রুত নদী খননের সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়, তাহলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনেও কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সারওয়ার জাহানকে মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিলেও তিনি তা ধরেননি।

অবস্থান কর্মসূচির কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানা কবির আন্দোলনকারীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বললে তারা আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিবেন এবং প্রতিবেদন অনুযায়ী পবরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।