ময়মনসিংহে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ কৃষকদল নেতার বিরুদ্ধে
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে এফআইআরভুক্ত আসামি ধরার সময় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে স্থানীয় কৃষকদল এক নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের রাইশিমুল গ্রামে।
স্থানীয়সূত্র ও পুলিশ জানায়, ওই গ্রামের একটি মারামারি ঘটনায় মামলা হয় গৌরীপুর থানায়। ঘটনার বাদী জনৈক জুটন বাদী হয়ে চার জনকে অভিযুক্ত করেন। ওই মামলার ৪ নম্বর অভিযুক্ত মো. শাহারিয়ার অপি (২২) কে ধরতে পুলিশ তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে। ওই সময় ঘরে মামলার চার আসামি অবস্থান করছিল।
এক পর্যায়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও চার নম্বর আসামি অপিকে ধরে ফেললে ধস্তাধস্তিসহ হৈ-হুল্লুর চেঁচামেচি শুরু হলে এগিয়ে আসেন স্থানীয় শাহজাহান নামে এক ব্যক্তি। তিনি ওই সময় নিজেকে কৃষকদলের সভাপতি পরিচয় দিয়ে আসামি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বললেও কাজে লাগেনি। পরে পুলিশ আসামি অপিকে নিয়ে যেতে চাইলে শাহজাহান জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার পর দায়িত্বরত পুলিশের দল অসহায় অবস্থায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কৃষকদলের সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়া সাংবাদিকদের জানান, তিনি আসামি ছিনিয়ে নেননি। ঘটনার সময় তিনি আসামির বাবার কাছে পাওনা টাকা নিতে এসেছিলেন। এ সময় পুলিশকে শুধু বলেছিলেন আসামিকে মারপিট ও টানাহেঁচড়া না করতে।
অন্যদিকে আসামির বাবা মো. রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের কারনে একটু ঝামেলা হয়েছিল। ওই ঘটনায় তাঁর ভাইয়ের শ্যালক জুটন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তখন কোনো মামলা হয়নি। এরপর পুলিশ বাড়িতে এসে ঘরে প্রবেশ করে তাঁকে ও ছেলেকে অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক ধরে নিতে চাইছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গৌরীপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো.হানিফ উদ্দিন জানান, মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পরই আসামি গ্রেফতার করতে যাওয়া হয়েছিল। একজন অভিযুক্ত ধরার পরেই শাহজাহান নামে একজন নিজেকে কৃষকদলের নেতা পরিচয় দিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে আশেপাশের লোকজনকে জড়ো করে। তখন আসামিকে নিয়ে ওই কৃষকদল নেতা সঁটকে পড়ে।
এ ঘটনায় গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন