ময়মনসিংহে প্রধান শিক্ষক পদবী ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বিধি বহির্ভূত ও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ভূয়া প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) পদবী ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভূটিয়ারকোনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক (ধর্ম) মোঃ সাজেদুল হকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন একই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ (পদাধিকারবলে) গোলাম মোহাম্মদ।

সোমবার ভূটিয়ারকোনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর প্রতিষ্ঠানের প্যাডে এই অভিযোগ দেন তিনি।

তিনি লিখিত অভিযোগে আরও জানান, প্রতিষ্ঠানের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের নিয়ে একই প্রতিষ্ঠানের সহকারি শিক্ষক সাইফুল ইসলাম তালুকদার প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে।

এ সময় তৎকালীন ইউএনও বিধি বহির্ভূত ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে রেজুলেশন করে সহকারি শিক্ষক (ধর্ম) সাজেদুল হককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করলেও (পদাধিকার বলে) অধ্যক্ষের পদ শূন্য করতে না পেরে কোন নিয়োগপত্র দিতে পারেননি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সহকারি শিক্ষক সাজেদুল হক এই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদবী ব্যবহার করে বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব নাম্বারে কোন লেনদেন না করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

ভূয়া প্রধান শিক্ষক পদবী ব্যবহার করতে না পারে ও তাঁকে সাময়িক বরখাস্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজেদুল হক জানান, আমাকে রেজুলেশন করে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট। আমি উল্টো বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন হিসেবে নিজে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করেছি।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আকলিমা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করি। পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের জন্য মৌখিকভাবে বলেন। ঘটনাটির তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, অভিযোগপত্রের অনুলিপি পেয়েছি। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।