ময়মনসিংহে বিনামূল্যের চিকিৎসা ও ঔষধ পেয়ে গ্রামবাসী খুশি
চিকিৎসাসেবা সাধ্যের মধ্যে না থাকায় গ্রামের মানুষজন ভালো ডাক্তার দেখাতে পারেন না। অনেকের ক্ষেত্রে টাকার অভাবে অধরাই থেকে যায় চিকিৎসাসেবা। গ্রামের মানুষের চিকিৎসার কষ্ট লাঘব করতেই ছুটির দিনগুলোতে ঔষধ নিয়ে ছুটে আসেন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ। গ্রামের মানুষজন বিনামূল্যের এই চিকিৎসা ও ঔষধ পেয়ে খুশি।
ডা. আকাশের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বালুচরা গ্রামে। বর্তমানে তিনি সহযোগী অধ্যাপক ও আইসিইউ বিভাগীয় প্রধান হিসাবে কর্মরত আছেন ঢাকার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সরেজমিনে শুক্রবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তিনি গ্রামের মানুষের চিকিৎসাসেবা দিতে গড়ে তুলেছেন নিজ গ্রাম বালুচড়ায় আছুবা মেমোরিয়া ট্রাস্ট। এই ট্রাস্টের উদ্যোগে নির্মাণাধীন মেডিকেল সেন্টার ভবনে বসে রোগী দেখছেন ডা. আকাশের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টীম। এতে বিনামূল্যের চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ পেয়েছেন সহস্রাধিক অসহায় ও গরীব রোগী।
জানা গেছে, ডা. আকাশ চাকরির কারণে ঢাকায় থাকলেও ছুটির দিনে তিনি ছুটে আসেন গৌরীপুরে। এলাকায় মাইকিং করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে মেডিকেল ক্যাম্প করে এলাকার গরীব-অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ দেন। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি এলাকায় এই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। শুধু চিকিৎসাসেবাতেই নয় তিনি মাদকের কুফল ও বাল্যবিয়ের কুফল তুলে ধরেন। তিনি গ্রামের সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নেন।
চিকিৎসা নিতে আসা বালুচড়া গ্রামের হাসিনা বেগম বলেন, শহরে গিয়ে ডাক্তার দেখাইলে হাজার টাকার উপরে খরচ হয়, আমাদের গ্রামের ডাক্তার আকাশ বিনামূল্যে আমাদের চিকিৎসা দিচ্ছেন পাশাপাশি ঔষধও দিয়েছেন। এতে আমরা অনেক খুশি।
বালুচড়া গ্রামের শামীম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছি টাকার অভাবে শহরে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারছি না।
উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল গফুর বলেন, অনেক ডাক্তার আছেন যারা মেডিকেল থেকে পাশ করে আর গ্রামে আসেননা কিন্তু ডা. আকাশ ব্যতিক্রমী একজন মানুষ। তিনি ছুটির দিনগুলোতে এই উপজেলার অবহেলিত দরিদ্র-অসহায় ব্যক্তিদের বিনামূল্যে চিকিৎসেবা দেন ও ঔষধ বিতরণ করেন।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ বলেন, আমি গ্রামে বড় হয়েছি। গ্রামের মানুষদের দেখেছি চিকিৎসার জন্য কষ্ট করতে। তাই, অবহেলিত মানুষদের সেবা করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে নির্মাণাধীন মেডিকেল সেন্টারটি চালুর মাধ্যমে এই সেবা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবেন বলেও তিনি জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন