ময়মনসিংহে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং চতুর্থ ব্যাচের উদ্ধোধন
ময়মনসিংহ জেলায় যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অধীনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেড অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম সারাদেশের ন্যায় উদ্ধোধন করা হয়েছে।
(৫ অক্টোবর) রবিবার প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৪র্থ ব্যাচের উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ মাহবুবুল আলম।
সভাপতিত্ব করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক যুগ্ম সচিব মানিকহার রহমান।বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান (গ্রেড-১),যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার যুগ্ম সচিব মোঃ আবুল হাসান ও ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ আলম।
অনুষ্ঠান চলাকালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক মোঃ হারুন অর রশিদ ময়মনসিংহ থেকে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আশিকুর রহমান, কোর্ডিনেটর মোঃ রনি মাহবুব, আ্য-কোর্ডিনেটর মোঃ মতিউর রহমান, ওয়ের ডিজাইন ট্রেইনার মোঃ আমরান হাসান প্রমূখ।
বক্তব্য প্রদান কালে তারা জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “দেশের ৪৮ জেলায় শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নিয়োজিত প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান e-Learning & Earning Limited দেশের ৮টি বিভাগের ৪৮টি জেলায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
প্রকল্প মেয়াদে ২৯৯ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২৮৮০০ জন প্রশিক্ষণার্থীর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ১ জানুয়ারি ২০২৫ হতে দেশের ৪৮টি জেলায় একযোগে এ ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়।অদ্যাবধি ৪৮ জেলায় ৩টি ব্যাচে ৪০% এর অধিক নারী প্রশিক্ষণার্থীসহ সর্বমোট ৭২০০ জন যুব ও যুব নারী প্রশিক্ষণার্থী সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে।
প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী যুবদের মধ্যে ৪৫৬৭ জন বা ৬৩% প্রশিক্ষণার্থী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে আয় করতে সক্ষম হয়েছে। এ সকল প্রশিক্ষণার্থী এ পর্যন্ত প্রায় ৬ লক্ষ ১ হাজার ৫ শত ২৬ ডলার ও ২ কোটি ৭৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩ শত ২১ টাকা, যা বাংলাদেশি টাকায় সর্বমোট ১০ কোটি ১৩ লক্ষ ৫১ হাজার ১৯ টাকার সমপরিমাণ আয় করতে সক্ষম হয়েছে।
এ আয় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।আয়কারী প্রশিক্ষণার্থীদের আয় বৃদ্ধি ও যারা আয় করতে সক্ষম হয়নি তাদেরকে আয়ের সাথে সম্পৃক্ত করতে প্রকল্পভুক্ত সকল জেলায় বিনামূল্যে নিয়মিত ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণ পরবর্তী সাপোর্ট বা মেন্টরিং ক্লাস প্রদান করা হচ্ছে। যাতে সকল প্রশিক্ষণার্থী আয়ের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে।
১ জানুয়ারি২০২৫ হতে প্রতি প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রতি জেলায় ২টি ব্যাচে ৫০ জন করে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি করা হয়। তবে প্রকল্পের ‘প্রশিক্ষণ কার্যক্রম’ ১ বছর বিলম্বে শুরু হওয়ায় প্রকল্প মেয়াদে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বর্তমানে প্রতি জেলায় ২টি ব্যাচে ৫০ জন এর স্থলে ৩টি ব্যাচে ৭৫ জন প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে অক্টোবর-ডিসেম্বর’২০২৫ মেয়াদে ৩ মাস ব্যাপী ৩টি ব্যাচে (২৫*৩) ৭৫ জনকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ভর্তির সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ ব্যাচে ৪৮টি জেলায় একযোগে ৩৬০০ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে।
এ ব্যাচে ভর্তির লক্ষ্যে ৯২,৭৬৩ জন প্রার্থী অনলাইনে আবেদন করে। আবেদনকৃত প্রার্থীর মধ্য থেকে ৪০,৭৫৮ জন যোগ্য আবেদনকারী ভর্তি পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়। পর্যায়ক্রমে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের ৪৮টি জেলায় মোট ৩৬০০ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের দৈনিক ৮ঘন্টা করে ৩ মাস ব্যাপী মোট ৬০০ ঘন্টার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




