ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা মহাসড়কে চাঁদাবাজি: গ্রেফতার-৩

ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা আঞ্চলিক মহাসড়কে গৌরীপুর উপজেলার বেলতলী এলাকা থেকে চাঁদাবাজিকালে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাল নিশান উড়িয়ে (বিপদজ্জনক সংকেত দেখিয়ে) চাঁদাবাজিকালে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) গৌরীপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের জঙ্গলবাড়ি এলাকার মো. আব্দুল কদ্দুছের পুত্র আবুল কাসেম। মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মাযহারুল আনোয়ার।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরকেও গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উক্ত সড়কের বেলতলী বাজারের পশ্চিমে অটো রাইস মিলের সামনে বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে কয়লা বোঝাই ট্রাকের চালক মো. রফিকুল ইসলামের নিকট ২০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ ঘটনার খরব পেয়ে কয়লা ব্যবসায়ী আবুল কাশেম ঘটনাস্থলে আসেন।

বিষয়টি শ্যামগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ও গৌরীপুর সেনা ক্যাম্পকে অবহিত করা হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে এ সময় ৩জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন বেলতলী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র মো. আব্দুল জলিল, মৃত জসিম উদ্দিনের পুত্র মো. মিজানুর রহমান (৪৫), মৃত হাফিজ উদ্দিনের পুত্র মো. ফজলুর রহমান।

এছাড়াও ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার অন্য আসামীরা হলেন বেলতলী গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের পুত্র হাবিবুর রহমান সাজল (বুলেট), মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র কামরুল মিয়া, আজিজুর রহমানের পুত্র পিয়াস উদ্দিন, রহিমের পুত্র নাঈম মিয়া, মোতালেবের পুত্র হৃদয় মিয়া ও কাদের, রাকিব মিয়া, আকাশ মিয়া।

দুর্গাপুরের ট্রাক চালক সাইফুল ইসলাম জানান, একটি চক্র রাস্তায় লাল নিশান উড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, বিপদসংকেত বুঝে দাঁড়ালেই ওরা চাঁদা দাবী করে। না দিলে চালক আর হেলপাড়দের নামিয়ে মারধরও করা হয়।