ময়লায় সয়লাব নোবিপ্রবির খাদিজা হলের আশপাশ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) বিবি খাদিজা হল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা এবং সচেতনতার অভাবে যত্রতত্র আবর্জনা ফেলার প্রবণতায় ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে হলের আশপাশ। ফলে আবর্জনার দুর্গন্ধ ও জীবাণু চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন রোগের সূত্রপাত ঘটছে।

দীর্ঘদিন ধরে এসব ময়লার স্তূপ পরিষ্কার না করায় বেড়েছে মশার উপদ্রব। ফলে বাড়ছে ডেঙ্গুসহ নানাবিধ মশাবাহিত রোগের আশঙ্কা। ক্যাম্পাসের এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন হলের শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিন দেখা যায়, হলের আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় ময়লার স্তূপ জমে আছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যবহৃত জিনিসপত্রও হলের সামনে ফেলে রাখতে দেখা যায়। কিন্তু এসব পরিষ্কারে কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের নজর নেই বললেই চলে। ফলে দিন দিন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিণত হয়ে উঠছে হলের পরিবেশ।

বিবি খাদিজা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জান্নাতুন নুর তাসনোভা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিবি খাদিজা হলের আশেপাশে দীর্ঘদিন ধরে প্রচুর ময়লা পড়ে থাকায় সেখানে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে যার ফলে আমরা যারা নিচতলায় থাকি তাদের সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, মশার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আমরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছি কিন্তু হল কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় নি বললেই চলে।

বিবি খাদেজা হলের আরেক শিক্ষার্থী বিজিই বিভাগের তাইয়েবা খাতুন বলেন-প্রশাসনের নিকট দাবি জানাই,অতিদ্রুত হলের আশপাশ পরিষ্কার করার উদ্দেগ নেওয়া এবং যাতে প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত একদিন হলের আশপাশ পরিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে বিবি খাদিজা হলের প্রভোস্ট ড.মো.মামুনুর রশিদ বলেন- আমরা গতকাল (রবিবার) শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছি এবং সেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যা গুলো তুলে ধরেছেন। ময়লা পরিষ্কারের ব্যাপারে আমরা কাজ শুরু করেছি ইতিমধ্যেই হলের ছাঁদ ও সামনের কিছু অংশ পরিষ্কার করা হয়েছে এবং বাকি অংশের কাজ চলমান রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে বলেন, শিক্ষার্থীদের অবশ্যই এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে হবে কেননা হলের আশপাশ একবার পরিষ্কার করে দেওয়া হলে তা পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব শিক্ষার্থীদেরই। তিনি আরও বলেন হলের সামনে খালি জায়গা গুলোতে সৌন্দর্যবর্ধক বিভিন্ন গাছ লাগানো হবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বসার ব্যবস্থা করা হবে।