মরণ ফাঁদে দুই ছাত্রী! সর্বনাশ হওয়ার আগেই যেভাবে রক্ষা পেল তারা
ক্রমশ ছড়াচ্ছে ‘ব্লু হোয়েল’। এবারে ঝাড়গ্রামে নীল তিমি খেলতে গিয়ে ধরা পড়ল দুই ছাত্রী। এই খেলার একেবারে শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল এই দুই ছাত্রী। অ্যাডমিন তাদের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় রক্ষা পেল দুই ছাত্রী। এই ছাত্রীরা ঝাড়গ্রামের গজাশিমুল কেসিএম হাইস্কুলে পড়ে।
বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল দুই ছাত্রী। শুধু তাই-ই নয় খাওয়াদাওয়াও করছিল না তারা ঠিক করে। সারাদিন ভয়ে জড়সড়ো হয়ে ছাদে গিয়ে বসে থাকতো তারা। সেই অবস্থা থেকেই বাঁচান হল দুই ছাত্রীকে।
দুই ছাত্রী জানিয়েছে, তারা রীতিমতো এই খেলায় জড়িয়ে গিয়েছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছেই তারা স্বীকার করে যে, তারা আরও বাঁচতে চায় এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, এক ছাত্রী হাতে নীল তিমি এঁকেছিল আর অন্যজন হাতে কম্পাস দিয়ে ফুটো ফুটো করে ক্ষত তৈরি করেছিল।
শুধু ওই দুই ছাত্রী নয়, তাদের সঙ্গে এই খেলায় সদ্য যোগ দিয়েছিল আরও তিন ছাত্রী। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গেও এই বিষয় কথা বলে। এর পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে ও শিক্ষা দফতরকে জানায়।
শিক্ষকরা জানান, এই দিন বিদ্যায়লয়ে প্রার্থনা চলার সময়ে ওই দুই ছাত্রীর হাতে কাটা দাগ দেখেন তাঁরা । পুরো ঘটনা সামনে আসার পরে ওই দুই ছাত্রীর অভিভাবকদের ডেকে পাঠান শিক্ষকরা। অভিভাবকরাও তাদের অদ্ভুত আচরণের কথা স্কুলে জানান। ওই দুই ছাত্রী লিখিত ভাবে জানিয়েছে যে, তারা ভবিষ্যতে আর ‘ব্লু হোয়েল’ খেলবে না।
বিদ্যালয় পরিদর্শক সমর দাস শিক্ষকদের স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে ‘ব্লু হোয়েল’ নিয়ে ব্যাপক হারে সতেচনতা তৈরি করার কথা বলেছেন। ঝাড় গ্রামের পলিশ সুপার জানান, কী ভাবে এই খেলা এত ছড়ালো, তা নিয়ে তারা তদন্ত করছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন