মরমী সাহিত্য ও সঙ্গীত প্রসারে কাজ করছি : হাবিব মোস্তফা
হাবিব মোস্তফা। একজন কণ্ঠশিল্পী, গীতিকবি ও সুরকার। তার গাওয়া একাধিক শ্রোতাপ্রিয় একক এলবাম এবং বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সিঙ্গেল ট্র্যাক ইউটিউবে পাওয়া যায়। পাশাপাশি তিনি গান ও কবিতা লিখছেন সমান তালে সুরও করছেন। হাবিব মোস্তফা সামাজিক অসঙ্গতি, মূল্যবোধের অবক্ষয়, সঙ্গীত বিষয়ক সমালোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন। তার লেখা ‘নন্দিতজনের নিন্দিত মৃত্যু’ এবং ‘প্রেমের কবি নজরল’ বই দুটি আলোচনায় এসেছে। সঙ্গীতসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়।
বর্তমানে কাজের ব্যস্ততা কেমন?
হাবিব মোস্তফা : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ইসলামি গানের একটা সংকলনে হাত দিয়েছি। মাওলানা জালালুদ্দিন রুমির আত্মদর্শনমূলক বানীগুলোকে একত্রিত করে ‘রুমিনামা’ শিরোনামে একটি বইয়ের সম্পাদনার কাজ করছি। পাশাপাশি দেশের খ্যাতনামা তারকা শিল্পীদের কণ্ঠে আমার লেখা ও সুর করা কিছু সুফি গান তৈরীর চেষ্টা করছি। নিজের জন্যও মরমী ভাবধারার কিছু গান নির্বাচন করছি। আশা করছি শীঘ্রই গানগুলোর কণ্ঠ ধারণ সম্পন্ন হবে।
একজন সচেতন শ্রোতা হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে সঙ্গীত অঙ্গনকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
হাবিব মোস্তফা : মানুষের শ্রবণ-রুচির পরিবর্তন হয়েছে। আনন্দের বিষয় হলো দেশের অনেক তারকা শিল্পীরা মরমী গানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হচ্ছেন, আত্মাশুদ্ধির জন্য সুফি গান করছেন। সঙ্গীতের মাধ্যমে মানুষকে অনৈতিকতা থেকে বিরত রাখার এই প্রয়াসকে অবশ্যই পজিটিভ দিক হিসেবে দেখি। আমি শহরের এলিট শ্রেণীর ড্রয়িং রুমে সুফি গানকে পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করছি। আমি মনে করি সেদিন আর বেশি দূরে নয় যখন প্রতিটি গানপাগল মানুষ আধ্যাত্মিক গানের আরও বেশি আকৃষ্ট হবেন, নিজেকে শুধরে নেয়ার কথা ভাববেন।
সৃস্টিশীল মানুষ হিসেবে কোন বিষয়ে বেশি মনযোগ দেন?
হাবিব মোস্তফা : আমি মনে করি, বিশেষায়িতভাবে পরিচয় দেয়ার মত কোনো অবস্থান এখনো আমার হয়নি। লিখছি-গাইছি একান্ত মনের টানে। এর কোনটাই আমার পেশা নয়। আমার অধ্যয়ন-অনুরাগ ধর্ম দর্শনে। স্বভাবতই চেতনার ব্যাপক অংশ দখল করে আছে ইন্দ্রিয়াতীত বিশুদ্ধ প্রেম’ তথা ‘মরমীবাদ’। আধ্যাত্মবাদের পারিবারিক ঐতিহ্য জন্ম থেকেই শিরা-উপশিরায় লালন করছি বলে নিজেকে আমি একজন কালচার্ড সুফি পরিচয় দিতেই গর্ব বোধ করি।
সম্প্রতি নজরুল গবেষণায় পদক পেয়েছেন, অনুভূতি কী?
হাবিব মোস্তফা : কাজের ক্ষেত্রে পদক, সম্মাননা কিংবা যে কোনো স্বীকৃতির প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। তবে দেশের নজরুলপ্রেমীরা আমার এই পদক প্রাপ্তিতে বেশ উৎসাহিত হয়েছেন দেখে ভাল লাগছে। তাই এ সম্মাননা আমি দেশের সকল নজরুল ভক্তদের জন্য উৎসর্গ করেছি।
সঙ্গীত অঙ্গনের শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য কী?
হাবিব মোস্তফা : মানুষ হিসেবে যে পেশায় যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন, কখনো কপটতাকে আশ্রয়-প্রশয়ও দেয়া যাবে না। সততার সঙ্গে যে কোন কিছু চর্চার ফল অবশ্যম্ভাবী। সততাকে ধারণ করলে সাময়িকভাবে বিপদগ্রস্ত হলেও চূড়ান্ত বিজয় অবশ্যই আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন