মহাত্মা গান্ধীকে হত্যায় বিদেশী রাষ্ট্রের হাত ছিল?
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গুলি হত্যা করা হয় ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে। এ নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন পঙ্কজ ফড়নবিস নামের এক ব্যক্তি।
ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে কি না এবং কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের হাত ছিল কি না তা বের করতে নতুন করে তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। ৬ অক্টোবর মামলার শুনানি হবে।
১৯৪৭ সালে টুকরো হয়ে স্বাধীনতা পায় ভারত ও পাকিস্তান। দেশ ভাগের করুণ পরিণতিতে গভীর ব্যথিত হন মহাত্মা গান্ধী। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পৈশাচিকতা, বর্বরতা থামাতে ৭৮ বছর বয়সে অনশনে বসেন তিনি। টানা পাঁচ দিন অনশনের পর দেশের নেতাদের অনুরোধে খাবার গ্রহণ করেন তিনি। দেশভাগের পরের বছর ৩০ জানুয়ারি উগ্র হিন্দুত্ববাদী নাথুরাম গডসের গুলিতে নিহত হন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী।
গান্ধীর উপর যখন গুলি চালানো হয় সে সময় হার্বার্ট টম রিনার নামে এক মার্কিন অফিসার খুব কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। গান্ধীর সঙ্গে তার ব্যবধান ছিল বড় জোর ৫ ফুট। ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্যে হার্বার্ট ধরে ফেলেন হত্যাকারীকে। সেই অভিশপ্ত সন্ধ্যাতেই গান্ধী হত্যার ব্যাপারে একটি রিপোর্ট ফাইল করেন হার্বার্ট টম। কিন্তু ৭০ বছর কেটে গেলেও আজও সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।
গত মে মাসে আমেরিকার ন্যাশনাল আর্কাইভস অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে গিয়েছিলেন পঙ্কজ ফড়নবিস। সেখানেই বিষয়টি তার নজরে আসে। এরপরই মামলা করেন তিনি। আমেরিকার তথ্য জানার স্বাধীনতা আইনে ওই ফাইলের তথ্য প্রকাশের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন পঙ্কজ। গান্ধী হত্যার দিন সন্ধ্যায় দিল্লির মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে যে সব টেলিগ্রাম করা হয়েছিল তার একটিরও বক্তব্য জানা যায়নি। সোমবার এসব গোপন টেলিগ্রামের বক্তব্য জানতে চেয়ে পঙ্কজ হোয়াইট হাউসে একটি অনলাইন পিটিশন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন