মহেশখালীতে বিধ্বস্ত বিমান দেখতে উৎসুক মানুষের ঢল

কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর রাতের অন্ধকারে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তেমন দেখা না গেলেও ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই দৃশ্যমান হতে থাকে সব। বিধ্বস্ত বিমান দেখতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘটনাস্থলে ভিড় জমাতে থাকে মানুষ।

নিপ্পন পাল নামে স্থানীয় এক যুবক জানান, সকাল থেকে শুধু মহেশখালী পৌর এলাকার লোকজন নয়, উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নারী-পুরুষ আসতে থাকে ঘটনাস্থলে।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে মহেশখালী থানা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের এলাকা পুটিবিলার বাটা মাঝির বসতবাড়ির পাশে ও ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়ায় বিধ্বস্ত হয় বিমানবাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান।

তবে বিমানের চার পাইলট ও কো-পাইলটকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন- বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন শরীফ, উইং কমান্ডার রাজীব, উইং কমান্ডার আজিম ও স্কোয়াড্রন লিডার মনির।

জানা গেছে, ইয়াক-১৩০ মডেলের বিমান দুটি একই সময়ে চট্টগ্রাম বিমানবাহিনীর ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পরপরই রাডারের সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিমান দুটোতে আগুন ধরার সঙ্গে সঙ্গে প্যারাসুটের মাধ্যমে প্রাণ রক্ষা করতে সক্ষম হন পাইলটরা। ফরমেশন ফ্লাইংয়ের (পাশাপাশি দুটো উড্ডয়ন) সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদুল হাসান দুর্ঘটনার বিষয়ে বলেন, ‘বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানগুলো রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তারপরই বিধ্বস্ত হয়। বিমান দুটি উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।’