মাইকেল জ্যাকসন আসছে নতুন রূপে !
মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গীতময় জীবন নিয়ে এমটিভি নতুন একটি অনুষ্ঠান সম্প্রচারের পরিকল্পনা করছে। লিন নটেজ মাইকেল জ্যাকসনের গান আবারও পরিবেশন করবেন এবং ‘ব্লাকইশ’ নির্মাতা কেনিয়া কেরিস একটি ফরাসি দলের সঙ্গে জেনিস বাদ্যযন্ত্রের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
লিন নটেজ মাইকেল জ্যাকসনকে নিয়ে পরিকল্পিত অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলেন,’টেলিভিশনে যে কোনো একটি প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে সঞ্চালিত হয়। তাই আপনি আপ টু ডেট থাকার জন্য এই অনুষ্ঠান অনুসরণ করতে পারেন। তাছাড়া আপনি জানেন না কখন এবং কীভাবে ভালো একটি সুযোগ পেয়ে যাবেন। ‘
পপ সঙ্গিত জগতে মাইকেল জ্যাকসন একটি বড় বেদীর মতো, তিনি নিজে একটি সাম্রাজ্য এবং নিজেই সেই সাম্রাজ্যের রাজা। তাইতো লিন নটেজ অনবরত তার কাজের মধ্যে ঐশ্বর্য খুঁজে চলছেন। দুইবার পুঁলিৎজার পুরস্কার পেয়েছেন মাইকেল জ্যাকসন। মাইকেল জ্যাকসন স্ট্রেট এবং কলম্বিয়া লাইভ স্টেজ তার জীবনী নিয়ে বই লিখেছেন। আর তাদের এই অনুমোদিত মাইকেল জ্যাকসনের জীবনী দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে লিন নটেজ একটি নতুন পর্যায়ের সঙ্গিতবিষয়ক বই লেখার কথা ভাবছেন এবং এটির ওপর ভিত্তি করে এমটিভি এ অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী জ্যকবক্স মিউজিকাল দ্বারা অনুষ্ঠানটি প্রস্তুত হবে এবং আগামী ২০২০ সাল থেকে অনুষ্ঠানটি নিয়মিত সম্প্রচারিত হবে। শোনা যাচ্ছে, নিয়মিত সম্প্রচারের আগে তারা এর কিছু পরীক্ষামূলক সম্প্রচার করবেন। তবে, অনুষ্ঠানটির পরীক্ষামূলক সম্প্রচার কবে বা কোথায় হবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অবশ্য একটি সূত্র থেকে এ বিষয়ে কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সূত্রটি জানায়,’অনুষ্ঠানটির পরীক্ষামূলক সম্প্রচারের কাজ বিশেষভাবে হবে এবং এজন্য টেলিসি কোম্পানি বা তারার রবিন কোম্পানির মাধ্যমে পরিবেশিত হতে পারে । এটি অনুষ্ঠানের নিয়মিত সম্প্রচারের জন্য বেশি কার্যকারী পদক্ষেপ। ‘
উল্লেখ্য, মাইকেল জ্যাকসন একজন মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, গান লেখক,অভিনেতা, সমাজসেবক এবং ব্যবসায়ী। তিনি ২৯ আগস্ট ১৯৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বহুল বিক্রিত এলবামের সঙ্গীত শিল্পীদের তিনি অন্যতম। জ্যাকসন পরিবারের ৮ম সন্তান মাইকেল মাত্র ৫ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে পেশাদার সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। তাকে পপ সঙ্গীতের রাজা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় অথবা, সংক্ষেপে তাকে এমজে নামে অভিহিত করা হয়। চার দশকেরও অধিককাল ধরে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব ২০০৯ সালে ২৫ জুন মৃত্যুবরণ করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন