মাঝরাতে ফোন : আপনার বাচ্চাটা বদল হয়ে গেছে!
মাঝরাতে আপনার মোবাইলে ফোন। আপনাকে হাসপাতালের লোক পরিচয় দিয়ে জানানো হচ্ছে, হাসপাতালের ভুলে আপনার বাচ্চা অদলবদল হয়ে গেছে। আপনি যে বাচ্চা বাসায় নিয়ে গেছেন সেটি আসলে আপনার নয়! আর যদি সত্যি সত্যিই আপনার স্ত্রীকে ওই হাসপাতালে সন্তান ডেলিভারির জন্য ভর্তি করে থাকেন তাহলে আপনার অবস্থা কেমন হবে?
সম্প্রতি এ রকম একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে একটি রেডিও আরজে টাজ এক ব্যক্তিকে কল দিয়ে বলেন, যে ব্যক্তিটির স্ত্রী কয়েকদিন আগে হাসপাতালে একটি বাচ্চা প্রসব করেছে। ফোন করে আরজে টাজ নিজেকে হাসপাতালের লোক পরিচয় দিয়ে বলে যে- হাসপাতালের ভুলে বাচ্চা অদলবদল হয়ে গেছে এবং যে বাচ্চাটিকে ওই দম্পতি ঘরে নিয়ে গেছেন সেটি আসলে তাদের বাচ্চা নয়; অন্যের বাচ্চা এবং এই বাচ্চাকে এখন হাসপাতালে ফিরিয়ে দিতে হবে। এই ভুলের মাশুল হিসেবে হাসপাতাল দম্পতিকে ক্ষতিপূরণ দিতে প্রস্তুত। ফোনে এই খবর শুনে নবজাতকের বাবা-মা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, উত্তেজিত এবং আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন, এক পর্যায়ে বাচ্চাটির প্রসূতি মা হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়লে অবস্থা বেগতিক দেখে এই আরজে টাজ গোমর ফাঁস করে জানান আসলে এটা ‘প্র্যাঙ্ক’ বা ‘দুষ্টামি’ ছিল!
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ভিডিওটি নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে। কেউ কেউ আরজে তাজকে মানসিক প্রতিবন্ধি বলছেন আবার কেউ কেউ প্রশাসন এবং মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
ভিডিওটি সাইবার ৭১ -We Hack to Protect Bangladesh ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে লিখেছে, প্রাংক কলের নামে মানুষকে এভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে কেন? প্রশাসন এবং মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ভিডিও টি সেটআপ হোক আর যাইহোক সাধারণ জনগণ এর মাঝে এইভাবে বিভ্রান্তি তৈরী করা কতটুকু যুক্তিগত আমাদের জানা নেই! ৩ মিনিট ৫২ সেকেন্ডর এই ক্লিপ দেখে বুঝে নিন এরা কি পরিমান হয়রানি করছে জনসাধারণকে, এরা স্টুডিও থেকে মজা নেয় আর অপরপ্রান্তে হাউমাউ করে কাঁদে!!!! এসব বন্ধ করার বিরুদ্ধে সবারই কথা বলা প্রয়োজন, প্রয়োজন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া। আমরা শুরু করলাম, বাকীটা দেশবাসীর উপর ছেড়ে দিলাম।
সোহরাব হোসাইন লিখেছেন, প্রাংক কল। সম্প্রতি বেশ শুনা যায়। এমনকি ইউটিউবে ঢুকলে বিভিন্ন নামের টাইটল ব্যবহার করে দর্শকদের নজর কাড়ে। এখন আসি মূল কথায়। এইসব প্রাংক কলের ভোক্তভুগী কিন্তু আমি, আপনি, বা আপনার সহজসরল মা-বাবা অথবা আপনজনের কেউ। কতটা যৌক্তিক অপরিচিত কাউকে বোকা বানিয়ে মজা নেয়া এবং সবশেষে বলা যে এটা একটা প্রাংক কল ছিল? দেখা যায় পুরুষ হলে একধরণের বক্তব্য অন্যথায় মহিলা হলে একধরণের বক্তব্য পেশ করে। কখনো প্রেমিকপ্রেমিকা, কখনো মেরে ফেলার হুমকি, কখনো সন্তানাদি নিয়ে যা ইচ্ছা তাই বলে। আমি আসলে এর কোন যৌক্তিক কারণ খোঁজে পাইনি। একজনকে বোকা বানিয়ে অন্যজন মজা নিচ্ছে বা অন্যকাউকে মজা দিচ্ছে। আপনি বা ভোক্তভুগী যতই এড়িয়ে যেতে চায়, প্রাংক কলার ততটাই গভীরে ঢুকে মজা নেয়। বিষয়টা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আনা দরকার। যাতে এইসব ভণ্ডামি বন্ধ হয়।
রাকিবুল হাসান লিখেছেন, প্রাংক কল করে মানুষের স্বাথে তামাশা করার বিরুদ্বে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
মাহমুদা আক্তার নিশা লিখেছেন, এরা কি ধরনের আরজে আর এটা কেমন রেডিও স্টেশন?! এগুলার জন্য বলতে লজ্জা লাগে যে এক সময় আমিও আরজে ছিলাম! একজন নবজাতক জন্ম দেওয়া মায়ের ইমোশন নিয়ে যেখানে এই ধরনের ফাইজলামি করা হয় সেখানে বেশি কিছু বলব না, এক কথাতেই শেষ করি, Rj Tazz তুমি একটা আবালচোদা!
মুনিরুল ইসলাম খান লিখেছেন, এই R J Tazz আমাকে প্রাংক কল করেছিল কিন্তু আমার গালির পরিমান এত বেশি ছিলযে তাহা ইউটিউবে আর আপলোড হয় নাই। আশা করি হবে না কখনও….. গালির ধরণ কেও আবার শুনতে চাইবেন না। এর উচ্চারণ শুনে একে ছাগল ছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না। বাংলা উচ্চারণ বাংলার মত না করলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আর ইংরেজি বললে সেটাই বলতো পুরা স্ক্রিপ্ট এ, বাহবা দিতাম। এদের দেখে মনে হয় কাক, ময়ূর হতে চায়। মানসিক প্রতিবন্ধীদের পক্ষেই এটা করা সম্ভব। মহিলা অসুস্থ…..পরিবার ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যকার ভালোবাসা সম্ভবত উনি কখনও দেখেননি।সন্তান নিয়ে মস্করা! এই মহিলাকে বাংলা ভাষা শিক্ষার ক্লাসে পাঠানো দরকার! এধরনের প্রাংক, আসলেই কি কোন সভ্য দেশে হচ্ছে নাকি শুধু আমাদের দেশেই এভাবে সাধারন মানুষ কে প্রাংক এর নামে মেন্টালি রেপ করা হচ্ছে?
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন