মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১১ নভেম্বর) মাতারবাড়ির গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেলের উদ্বোধন করেছেন। এসময় তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এখানকার গভীর সমুদ্র বন্দর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে বড় জাহাজ সরাসরি বিদেশি সমুদ্র বন্দরে যেতে পারবে এবং পণ্য লোড-অফলোড করা আরও সহজ ও সস্তা হবে এবং সময় সাশ্রয় হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শুধু নয় নেপাল, ভুটান এবং ভারতও এই বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এই ধরনের ব্যবহারে আমরা আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে গভীর সমুদ্র বন্দরকে আরও কার্যকর করতে পারি। একই অনুষ্ঠানে গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরুর ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সমুদ্র সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কাজ করে যাচ্ছে। ‘আমরা ব্লু ইকোনমি নীতি গ্রহণ করেছি এবং আমরা নীতিটিকে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছি।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে সমুদ্র আইন প্রণয়ন করেন এবং জাতিসংঘ প্রণয়ন করে ১৯৮২ সালে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার আইনের ভিত্তিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়ে বিশাল সামুদ্রিক এলাকা সফলভাবে অর্জন করেছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া আগের কোনো সরকার এ বিষয়ে কিছুই করেনি। শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় এলাকাটিকে শুধুমাত্র লবণ আহরণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছিল, কিন্তু এখন এলাকাটির উন্নয়ন করা হচ্ছে। দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য তাঁর সরকারের পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, তাঁর সরকারের বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ সম্পূর্ণ বদলে গেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে উন্নয়নের মডেল হিসেবে বিবেচিত এবং এর নাগরিকরা এখন সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলতে করতে পারে। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই গতি বজায় রেখে বাংলাদেশও এগিয়ে যাবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষের চেয়ারম্যান (সিপিএ) রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মাদ সোহাইল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন