মাত্র ১৫-২০ মন্ত্রী নিয়ে দেশ চালাবেন ইমরান খান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর শুরুতে ছোট মন্ত্রিসভা গঠন করবেন ইমরান খান। তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ডন।
১৫ থেকে ২০ সদস্যের সম্ভাব্য মন্ত্রিসভায় মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ও বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টিকে (বিএপি) একটি মন্ত্রণালয় পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হবে। ইমরান খানের বানিগালা বাসভবনে শনিবার দলের উচ্চপদস্থ নেতাদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পাকিস্তানে ইমরানের পূর্ববর্তী সরকারে ৩৩টি মন্ত্রণালয় ছিল।
সম্প্রতি এমকিউএম নেতাদের সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা করেন ইমরান খান। প্রাথমিকভাবে এমকিউএম-পিকে বন্দর ও জাহাজ চলাচলবিষয়ক মন্ত্রণালয় দেয়া হবে। জোটের আরেক শরিক দল বিএপিকে পাকিস্তানের ফেডারেল মন্ত্রিসভায় একটি আসন দেয়া হবে।
এর পরিবর্তে ইমরানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই বেলুচিস্তানে বিএপিকে সরকার গঠনের জন্য সমর্থন দেবে। কেন্দ্রে সরকার গঠনের জন্য পিটিআই প্রধান আরিফ আলভি ও এমকিউএম-পির ফয়সাল সাবজওয়ারির সঙ্গে ৯ দফাবিশিষ্ট একটি সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে।
মন্ত্রীদের মধ্যে সম্ভাব্য তালিকায় পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কোরেশী পররাষ্ট্র বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদের জন্য দলের সিনিয়র নারী সদস্য শিরেন মাজারির নাম উঠছে। সিনেটর শাফকত মেহমুদ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হতে পারেন।
আমলাতন্ত্রে তার অভিজ্ঞতা থাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদের জন্যও তাকে এগিয়ে রাখা হয়েছে। পাকিস্তানের অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল গুলাম ওমরের ছেলে আসাদ ওমর অর্থমন্ত্রী হতে পারেন। এ পদের জন্য ওমরকে যোগ্য হিসেবে স্বয়ং ইমরান খানই ঘোষণা করেছেন। তথ্যমন্ত্রী হতে পারেন পিটিআই মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী।
শরিক আওয়ামী মুসলিম লীগের শেখ রাশেদ ও কয়েকজন নারীকে মন্ত্রিসভায় রাখার পরিকল্পনা রয়েছে ইমরানের। এদিকে রাষ্ট্রের খরচ বাঁচাতে সাদামাটা ছোট একটি বাড়িতে থাকবেন ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিক ইমরান খান।
তিনি আগেই জানিয়েছিলেন সরকারি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকবেন না। ইমরানের ছোট আকারের বাসভবনে বসবাস করার এ সিদ্ধান্তে সরকারের বার্ষিক ১৮৫ কোটি রুপি ব্যয় কমবে।
গালফ নিউজ জানায়, এর মাধ্যমে ইমরান জনগণকে ইতিবাচক এই বার্তা দিচ্ছেন যে, তিনি দেশের অর্থ বেহুদা ব্যয় করবেন না।মোগল আমলের মডেলে ১৩৫ একর জমির ওপর লাল ইটের তৈরি প্রধানমন্ত্রী বাসভবনটি বেশ জমকালো ও বিলাসবহুল। ভবনে পাঁচটি উন্মুক্ত স্থান, একটি ফুলের বাগান, সুইমিংপুল, ভোজসভা কক্ষ, মিডিয়া ও কমিটি কক্ষ রয়েছে। পাশাপাশি চাকরবাকরদের জন্য ১০টি কোয়ার্টার, নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য আবাসস্থল ও পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য কক্ষ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ভবনে অন্তত ৫০ জন প্রটোকল কর্মকর্তা থাকেন।
এ ভবনের বার্ষিক নিরাপত্তা বাজেট ৯৮ কোটি রুপি, যার মধ্যে ৭০ কোটিই খরচ হয় প্রধানমন্ত্রী ভবনের কর্মকর্তাদের পেছনে। এছাড়া ভবন সাজানোর কাজে দেড় কোটি ও আগত অতিথিদের আপ্যায়নে ১৫ কোটি রুপি ব্যয় হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন