রাজনীতির ৪৩ বছরে প্রথমবারের মতো
মাদারীপুরের কালকিনিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
রাজনীতির ৪৩ বছরে প্রথমবারের মতো মাদারীপুরের কালকিনিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণ দিবেন নির্বাচনী জনসভায়। বঙ্গবন্ধু কন্যার আগমনকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা। সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে প্রস্তুত করা হয়েছে জনসভার মঞ্চ। এরই মধ্যে বর্ধিতসভাও করেছে আওয়ামী লীগ। নেতাকর্মীরা বলছেন, সভায় জমায়েত হবে লক্ষাধিক মানুষ। জনসভাকে ঘিরে ৬ স্তরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে ৫ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা-বাহিনীর সদস্য। সেই মোতাবেক প্রস্তুত প্রশাসনও।
আগামীকাল শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে জনসভায় ভাষণ দিবেন তিনি।
জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত নেতাকর্মীরা, আনন্দে আত্মহারা সাধারণ মানুষ। জনসভা সফল করতে এরই মধ্যে বর্ধিতসভা করেছে আওয়ামী লীগ। দফায় দফায় সভাস্থল পরিদর্শন করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে শনিবার বিকেলে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় উপকারভোগীদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। সবার মুখে উন্নয়নের সুর। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে চাওয়া-পাওয়ার শেষ নেই উপজেলাবাসীর। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর এই জনসভা দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তনে আরও ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের।
দলীয় সূত্র জানায়, মাদারীপুর সদরের একাংশ, কালকিনি ও ডাসার উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-৩ সংসদীয় আসন। এই আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যও। প্রথমবারের মতো কালকিনির এই মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগমনে আগামী ৭ তারিখের নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভায় লক্ষাধিক মানুষের টার্গেট করে তৈরি হচ্ছে জনসভার মাঠ। প্রস্তুত নেতাকর্মীরাও। বিগতদিনে বিপুল ভোটে নৌকা যেভাবে জিতেছে, ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রীর আগমনে নৌকার ভোট আরও বেগবান হবে বলে বিশ্বাস করি। প্রথমবারের মতো কালকিনিতে প্রধানমন্ত্রী আসছেন, এতে সবাই বেশ আনন্দিত।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করার জন্য আওয়ামী লীগ সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। লক্ষাধিক জনগণ যাতে এখানে উপস্থিত হয়, সেইভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সব জায়গায় জনসভা করতে পারেননি। বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে দল বেঁধে মানুষ এখানে আসবে।’
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে ৬ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সাদা পোশাকের পাশাপাশি থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তায় অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবে। আশা করছি, জনসভা ঘিরে কোথায় কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে না।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন