মাদারীপুরের শিবচরে আন্ত:জেলা তেল চোর চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ৬
মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে নদী শাসন কাজে ব্যবহৃত সরকারি-বেসরকারি ড্রেজার থেকে তেল চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় একটি তেলবোঝাই ট্রাক ও ৭ হাজার ১৫৪ লিটার ডিজেল জব্দ করা হয়।
সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় জেলার পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চোরচক্রের মূলহোতো শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নৈমদ্দীন খানকান্দি এলাকার মো. কুদ্দুন খানের ছেলে আল আমিন খান (১৯)। তার অন্য সহযোগি হলেন মুন্সিগঞ্জের লৌহজংএর দক্ষিণ মেদেনিমন্ডল এলাকার মাহাবুব হকের ছেলে রেদওয়ান হক (৩৪), একই এলাকার মো. মিন্টু ব্যাপারীর ছেলে মিঠু ব্যাপারী (৩৪), মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি এলাকার মৃত সিদ্দিক হাওলাদারের ছেলে করিম হাওলাদার (৩৪), একই এলাকার জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে মো. জোবায়ের ব্যাপারী (২০), একই উপজেলার মৃধাকান্দি গ্রামের সিরাজ মৃধার ছেলে হৃদয় মাহাবুব (১৯)।
গোয়েন্দা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৮ থেকে ১০ বছর ধরে শিবচর উপজেলাধীন পদ্মা নদীতে বিভিন্ন প্রকল্পে নদী শাসন কাজে ব্যবহৃত সরকারি-বেসরকারি ড্রেজার থেকে তেল চুরি করে আসছিল একটি চক্র। দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি ধরতে তৎপর ছিল জেলার গোয়েন্দা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রাম প্রসাদের নের্তৃত্বে সোমবার সকালে কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূলহোতা আল আমিন খানসহ ৬ সদস্যকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। এ সময় একটি তেলবোঝাই ট্রাক ও ৭ হাজার ১৫৪ লিটার ডিজেল জব্দ করা হয়।
মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. হাসানুজ্জামান বলেন, চুরি করা তেল খুচরা বাজারে কম দামে বিক্রি করে চক্রটি। এর সঙ্গে জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। ওই ৬ জনের বিরুদ্ধে শিবচর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পরে তাদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেন।
পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘আটক ৬ জনের মধ্যে আল-আমিন খান এই চক্রের মূলহোতা। তিনি শুধু মাদারীপুর অংশের নদনদীতেই নয়, বিভিন্ন জেলার নদনদী থেকে অবৈধ উপায়ে তেল চুরি করে তা কালোবাজারে বিক্রি করে আসছিল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ কাজে লিপ্ত। তার সঙ্গে আরো অনেকেই জড়িত। চক্রটি চুরি করা তেল স্বল্পদামে বিভিন্ন হাটবাজারের খুরচা দামে বিক্রি করে। উদ্ধার হওয়ায় ৭ হাজার ১৫৪ লিটার ডিজেলের বাজার মূল্য সাড়ে ৮ লাখ টাকা। এর আগেও এই চক্রটির এমন কাজ করায় তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলাও হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন