মাদারীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রতিবন্ধী স্বামী ও স্ত্রী আহত
মাদারীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক বাক প্রতিবন্ধী স্বামী ও তার স্ত্রী আহত হয়েছে। এসময় তাদের বাঁচাতে গেলে আরো দুইজনকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে এলাকাবাসী আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছে পরিবারটির সদস্যরা।
মাদারীপুর সদর থানার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচঁখোলা ইউনিয়নের মুক্তিসেনা স্কুলের কাছে এনছার উদ্দিন ফকিরের ছেলে ও আবদুল আজিজ ফকিরের পালক পুত্র শাজাহান ফকির সাথে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির উঠানের ৪ শতাংশ জমি নিয়ে হুমায়ুন ফকির ও তার ভাইদের সাথে বিরোধ চলে আসছে।
বিবাদমান ওই ৪ শতাংশ জমিতে দুই পক্ষই আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে। যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু বিবাদমান জমিতে গত ৩০ নভেম্বর সকালে শাজাহান ফকির দখল নেওয়ার উদ্দেশ্যে গাছপালা রোপন করতে গেলে বাড়িতে থাকা হুমায়ুন ফকির ও তার স্ত্রী রুমা বেগম বাঁধা দিতে গেলে তাদের লাঠিসোটা দিয়ে হামলা ও মারধর করে শাজাহান ফকির ও তার লোকজন।
এই ঘটনায় রুমা বেগম মাদারীপুর সদর থানায় বাদী হয়ে ওই দিনই একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এখনো পুলিশ হামলা ও মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে হুমায়ুন ফকিরের চাচাতো ভাই মো. আকিবুজ্জামান ফকির বলেন, আমাদের পক্ষে উপযুক্ত দলিল থাকা সত্তে¡ও শাজাহান ফকির উক্ত জমিতে ঘর নির্মাণ করেছেন এবং আমাদের দাবীকৃত জমি বুঝে চাইলে সে বিভিন্ন ভাবে হয়রানির মাধ্যমে আমাদেরকে জমি বুঝিয়া দেয় না। এবং আমাদের পক্ষে কেউ কথা বললে তাদেরকেও হুমকি দেন তিনি। আমাদেরকে এর আগেও দুই বার মারার জন্য চেষ্টা করেছিল।
এই বিষয়গুলো নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও আজ পর্যন্ত আমরা থানা থেকে কোন সুবিচার পাইনি। এই বিষয়ে প্রতিবন্ধী হুমায়ুন ফকিরের স্ত্রী রুমা বেগম বলেন, ‘আমাদের ন্যায্য জমি বুঝাইয়া না দিয়েও আমার প্রতিবন্ধী স্বামী ও আমাকে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে।
তখন আমাদের বাচাতে এলে আরো দুইজনকেও মারধর করে তারা। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি তবে এই বিষয়ে শাজাহান ফকির জানিয়েছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ সাংবাদিক ভাইয়েদের কাছে দিয়েছে আমার প্রতিপক্ষ।
তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং আমি তাদের কাছ থেকে উল্টা হয়রানির শিকার হচ্ছি।
এই বিষয়ে মাদারীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ঘটনাস্থলে থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন