মাদারীপুরে নিজের মামলায় নিজেই আসামী

মাদারীপুরে স্ত্রী ও তাঁর আত্মীয় সজনকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসাতে গিয়ে মামলার অভিযোগকারী নিজেই এখন জেল হাজতে। নিজ স্ত্রী আখি বেগম, তাঁর মা, বোন, দুলা ভাই এবং দুই ভাগিনাকে হয়রানী করার জন্য মাথায় ব্যান্ডেজ করে বিজ্ঞ বিচারক এর সামনে দাড়ায় আমির হোসেন (৪০)। মাদারীপুর নতুন শহর এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে আমির হোসেন ঘটনা সৃষ্টি করিয়া অসত্য বর্ননায় দন্ডবিধি আইনের ১৪৩/১৪৭/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/১১৪ ধারায় মামলা করতে এসে নিজেই এখন মামলার আসামী হয়ে জেল হাজতে।

ঘটনাটি ঘটেছে ২১ আগস্ট, ২০২৩ তারিখ আদালত চলাকালিন সময়ে মাদারীপুরের বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট মামুনুর রশিদ নিরব মহোদয়ের আদালতে। বিজ্ঞ বিচারকের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগকারী জানায়, তাহার মাথায় কোপ দিয়েছে এবং ছয়টি সেলাই লেগেছে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বিচারক মহোদয়ের সন্দেহ হলে তিনি ব্যান্ডেজ খোলার জন্য বলিলে অভিযোগকারী ডাক্তার ব্যান্ডেজ খোলতে নিষেধ করেছেন বলে আদালতে জানান।

বিজ্ঞ বিচারক মহোদয়ের নির্দেশে তাঁর অফিসের প্রসেস সার্ভার সোনা মিয়া মজুমদার এর সহায়তায় উক্ত ব্যক্তির মাথার ব্যান্ডেজ খুলে দেখেন তাহার মাথায় কোন কোপ নাই।

পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওয়াহিদুজ্জামান বাদী হইয়া আমির হোসেনকে আসামী হিসেবে উল্লেখ করিয়া দন্ডবিধি আইনের ২১১ ধারায় মামলা দায়ের করিলে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মামুনুর রশিদ নিরব মহোদয় আসামী আমির হোসেনকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।