মাদ্রসাছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহার পরিবর্তন
ফেনীতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহার পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন এজাহারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে প্রধান আসামি রেখে আরও সাত জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আসামি রাখা হয়েছে বোরকা পরিহিত অজ্ঞাতনামা চার জন ও তাদের সহযোগীদের।
সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে মামলার এজাহার পরিবর্তন করা হয়। পরিবর্তন করে যুক্ত করা বাকি আসামিরা হলেন, সোনাগাজী পৌর কাউন্সিলর মকসুদুল আলম, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, মাদ্রাসা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শামীম, সাবেক ছাত্র নুর উদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহম্মদ ও হাফেজ আবদুল কাদের।
এর আগে, শুরুতে ওই মামলায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত পরিচয় চার জন ও তাদের সহযোগীকে আসামি করা হয়েছিল।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, সোমবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আট জনের নাম উল্লেখ করে ও বোরকা পরিহিত চার জনসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা মামলা দায়ের করেন ওই শিক্ষার্থীর ভাই।
মামলার বাদী ওই শিক্ষার্থীর ভাই এজাহারে উল্লেখ করেন, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার নির্দেশে উল্লেখিত আসামিরা পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে তার বোনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা একই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ২৭ মার্চ থেকে কারাগারে রয়েছেন। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত সাত জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে লাইফ সাপোর্টে থাকা মেয়েটির শারীরিক অবস্থা ভীষণ নাজুক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
গত শনিবার (৬ এপ্রিল) ওই শিক্ষার্থী সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে বোরখা পরিহিত কয়েকজন তার তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন