মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সেই দুর্নীতিবাজ ইউপি সচিব এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়ন পরিষদের সেই দুর্নীতিবাজ সচিব মোহাম্মদ সেলিম মোল্লা নানা অপকর্ম করে এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ভুক্তভোগী একাধিক ব্যক্তির পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া স্বত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সূত্র মতে,গর্ভকালীন ভাতা কার্ড, স্কুলে ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম স্থাপনে দুর্নীতি,জন্ম নিবন্ধন ও পারিবারিক সনদে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর এবার নাগরিক সনদ ও প্রত্যায়ন পত্র দেয়ার নামে টাকা গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ওই ইউনিয়নের তেলিখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট সচিব মোহাম্মদ সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে আরো একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর পারিবারিক, নাগরিক সনদ ও প্রত্যায়নপত্রের জন্য সচিবের শরণাপন্ন হন। এতে সেলিম মোল্লা তার কাছে খরচ বাবদ ১৩ হাজার টাকা দাবী করেন।
নিরুপায় হয়ে তিনি টাকা দিতে বাধ্য হন এবং ১০ হাজার টাকায় রফাদফা হয়। দীর্ঘ ২ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও জাহাঙ্গীরকে কোনো কাগজপত্র দিতে পারেননি তিনি। পরবর্তীতে সচিবের কাছে টাকা ফেরত চাইলে উল্টো অসদাচরণ করে হুমকি- ধমকি দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ইউপি সচিব মোহাম্মদ সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে তার অপকর্ম নিয়ে একাধিকবার জাতীয় পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যার জন্য তিনি নানা অপকর্ম করেও রয়ে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী দুর্নীতিবাজ সচিবের শাস্তি দাবী করেছেন।
বলধারা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব অভিযুক্ত সেলিম মোল্লা বলেন, আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য কিছু লোক একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, অতিসত্বর তদন্ত কমিটি গঠন করে অনুসন্ধানের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন