মামলায় বেগম জিয়ার শাস্তি হয়েছে, আইনতো তাকে মানতে হবে : সেতুমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে যে আইনের জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, সেজন্য আওয়ামী লীগ দায়ী নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দেয়া মামলা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মামলায় বেগম জিয়ার শাস্তি হয়েছে। সুতরাং আইনতো তাকে মানতে হবে। মানবিকতা যা করার সেটি করা হয়েছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভা শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, হাওয়া ভবনের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হল তাদের নেতার পৃষ্ঠপোষকতায়। জিয়ার সম্মতি ছাড়া এটি সম্ভব ছিল না। অথচ আওয়ামী লীগতো ষড়যন্ত্র করেনি। রাজনীতিতে অলঙ্ঘনীয় দেয়াল বিএনপি সৃষ্টি করেছে। বরং বেগম জিয়াকে দণ্ড স্থগিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলের বাইরে এনে, বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছেন। শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা সত্ত্বেও তাকে সর্বোচ্চ মানবিকতা দিয়ে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাস্তায় দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নানা কারণে দুর্ঘটনা হয়। দুর্ঘটনার জন্য বেপরোয়া চালক যেমন দায়ী, বেপরোয়া পথচারীও দায়ী।
তিনি বলেন, তিন চাকার গাড়ি, মোটরসাইকেল হাইওয়েতে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। রাজনৈতিক কর্মীরা হেলমেট পর্যন্ত পড়ে না। তারা মোটরসাইকেলে দুই থেকে তিনজন চলেন দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডারের মতন।
এ সময় তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ব্যর্থ হয়নি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণেই সড়ক পরিবহন আইন হয়েছে। অজামিনযোগ্য ধারা রেখেই অন্যান্য দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কঠোরতা বিধান থাকছে আইনে।
চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য সারা দেশে বিআরটিসির গাড়িতে হাফ ভাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বেসরকারি গাড়িতেও কোনো শর্ত ছাড়াই বাস মালিক শ্রমিকরা হাফ ভাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার একইদিন ঢাকাসহ সারা দেশের জেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের সমাপনী উপলক্ষে দলীয় কর্মসূচি নেয়া হবে বলে জানান সাধারণ সম্পাদক।
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, এবারের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তবে, অনেক স্থানে বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হলেও নৌকার হার খুব বেশি নয়।
এদিকে, নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ না নিলেও বিদ্রোহীদের কাঁধে ভর করে বিএনপি সমস্যা সৃষ্টি করছে। এ অবস্থার পুনরাবৃত্তি রোধে ভবিষ্যতে সতর্ক থেকেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, তৃণমূলের সঠিক রিপোর্ট না আসায় মনোনয়নেও কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে, ভোটারদের উপস্থিতি ছিল একটি ইতিবাচক দিক। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে এটি বেশি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন