মার্কিন পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির জন্য ঢাকায় মানববন্ধন

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণ সৈয়দ আরিফ ফয়সাল হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে ঢাকায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তার আগমন ঘিরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন দুপুর ২টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক ইলিন লোবেশার। চারদিনের সফরে শনিবার বাংলাদেশে এসেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস আমহার্স্টের শিক্ষার্থী ফয়সাল।

নিজেদের কমিউনিটির সন্তান ফয়সালের এই মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড আখ্যায়িত করে বিক্ষোভ করেছেন নিউ ইংল্যান্ডের বাংলাদেশিরা। হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশে তার পরিবারও।

এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধনে শতাধিক লোক অংশ নেন। এসময় ‘যুক্তরাষ্ট্রে আজ মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত ‘জাস্টিস ফর ফয়সাল ‘ইউএসএতে বাংলাদেশি নিহত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চুপ কেন? ‘স্টপ কন্টিনিউয়াস হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন’ প্রভৃতি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।

মানববন্ধনে দেয়া বক্তব্যে সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, যেসব দেশে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসগুলোকে আমরা সেসব জায়গায় প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘন চাই না।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কথা বলে। আমরা বলব নিজ দেশে কী ঘটছে, তার উপর নজর দিন। ওয়াশিংটন পোস্টের খবর বলছে, সেখানে এক বছরে পুলিশের এক হাজার লোককে হত্যা করেছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বলব, এই যে এক হাজার লোককে হত্যা করার ঘটনায় চোখ বন্ধ করে থাকবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সাংবাদিক বলেন, ‘এ দেশে আপনারা যা ইচ্ছা তা করতে পারেন না। অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলানোর প্রয়োজন আপনাদের নেই। আপনারা নিজের নাগরিকদের মানবাধিকারের বিষয়ে সোচ্চার হোন।

মানববন্ধনের অন্যতম আয়োজক ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদউদ্দিন আহমেদ রতন বক্তব্য দেন।