মার্কিন হুঁশিয়ারিকে বুড়ো আঙুল দেখালো কিম
আমেরিকার হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে ভেতরে ভেতরে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা, বেআইনি অস্ত্র ব্যবসা ও অন্যান্য ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি ১৪৯ পাতার এক রিপোর্টে এমনটাই অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। এতে বলা হয়েছে, জাহাজে করে সমুদ্র পথে বিভিন্ন দেশে পেট্রোলিয়াম পণ্য ও কয়লা সরবরাহ করছে পিয়ংইয়ং। আর সবার অলক্ষ্যে চালাচ্ছে ব্যালিস্টিক মিসাইলের চোরাচালানও।
কয়েকদিন আগেই এই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মার্কিন গোয়েন্দারা। উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। বলেন, পিয়ংইয়ং-এর উপরে চাপ সৃষ্টি করুক রাষ্ট্রসংঘের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য দেশগুলি। তবে, সমস্ত হুঁশিয়ারিকে অমান্য করছে কিমের দেশ।
জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠকের পরেও গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র ও মিসাইল প্রযুক্তির উন্নতি ঘটিয়ে চলেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন। এছাড়া, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নির্দেশ অমান্য করেই অবৈধভাবে সমুদ্র পথে চালিয়ে যাচ্ছে পেট্রোপণ্য এবং কয়লা আমদানি। সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ৫ লাখ ব্যারেলেরও বেশি পেট্রোলিয়াম কিনেছে উত্তর কোরিয়া। ৪০টি জাহাজে করে ১২০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে এই তেল এসেছে উত্তর কোরিয়ায়।
কেবল আমদানিই নয়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বেআইনি রপ্তানিও চালাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ায় সর্বোচ্চ নেতা। জাতিসংঘের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭- সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত চীন, ভারত এবং অন্যান্য দেশে লোহা ও ইস্পাত সরবরাহ করেছে পিয়ংইয়ং। আয় করেছে ১৪ মিলিয়ন ডলার। ঘানা, মেক্সিকো, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তুরস্ক ও উরুগুয়েতে করেছে বস্ত্র রপ্তানি। সেখান থেকে আয় করেছে ১০০ মিলিয়ন ডলার। এমনকি, লিবিয়া, ইয়েমেন ও সুদানে অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামও চোরা পথে চালান করেছে কিমের দেশ। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন