পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ধানিসাফা ইউনিয়নের উদয়তারা বুড়ির চর গ্রামে
মালিকানা জমিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর; সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কারন দর্শানো নোটিশ
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানিসাফা ইউনিয়নের উদয়তারা বুড়ির চর গ্রামে মালিকানা জমিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জমির মালিক মামলা করায় আদালত পিরোজপুর জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কারন দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন।
পিরোজপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জজ আদালত মঠবাড়িয়া এ নোটিশ প্রদান করেন।নোটিশ প্রাপ্তির ১০ (দশ) দিনের মধ্যে আদালতে জবাব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১৭ নভেম্বর বিজ্ঞ আদালত ওই নোটিশ ইস্যু করেন।কিন্তু এখন পর্যন্ত বিজ্ঞ আদালতের ইস্যুকৃত নোটিশের জবাব দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বাদি ও বাদির আইনজীবী।মালিকানা ভূমিতে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার অভিযোগে আদালত ওই নোটিশ ইস্যু করেন।
এছাড়াও বিজ্ঞ আদালত মামলার বাদি মোঃ আউয়াল হাওলাদার গংদের অভিযোগ আমলে নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পিরোজপুরকে ২০/০২/২০২৩ খ্রি. তারিখে সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থিত হয়ে দাবীর সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রমানাদি দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, উদয়তারা বুড়ির চর মৌজার এস এ ৬৪১ নং খতিয়ানের এস এ ১৯৫ নং দাগের হি্ ১ আনা অংশে ০.৭১ একর ভূমি ১৯৫৮ সাল থেকে ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে ওয়ারিশ পরষ্পরায় বাদি গং ভোগ দখল করে আসছে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়,সম্প্রতী এলাকায় বিএস জরিপ শুরু হলে উক্ত ভূমি জরিপ কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন স্বত্ব দখল অনুসারে বাদিগনের নামে রেকর্ড না করিয়া স্বত্ব দখলহীন ১ নং বিবাদী অর্থাৎ জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ড করিয়া রাখে।বাদিগন স্থানীয় তহশিল অফিসে খাজনা দিতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারে।১০ নভেম্বর বিবাদিগন বাদির স্বত্ব দখলীয় ভূমিতে আবাসন প্রকল্পের ঘর নির্মানের কাজ শুরু করলে বাদিগন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।
মঠবাড়িয়া সেটেলমেন্ট অফিসার মীর আব্দুল মান্নান জানান,উদয়তারা বুড়ির চর মৌজায় বিএস জরিপ সম্পন্ন হয়েছে।এখনও গেজেট প্রকাশ হয়নি। ২/১ মাসের মধ্যেই প্রিন্ট পর্চা সহ গেজেট প্রকাশ হবে।
বাদিপক্ষের আইনজীবী এ্যাড. স্বপন কুমার সেন জানান,কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়- মামলায় উল্লেখিত ভূমি রেকর্ডিয় সম্পত্তি।বিবাদি পক্ষের বিরুদ্ধে অস্বায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ কেন প্রদান করা হইবে না তার কারন অত্র নোটিশ প্রাপ্তির ১০ (দশ) দিনের মধ্যে দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।এছাড়া ওই মৌজায় বিএস জরিপের গেজেট প্রকাশের আগেই রেকর্ডিয় জমি মিস কেসের মাধ্যমে খাস খতিয়ানে নিয়ে সেখানে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মানের বিষয়টি আমাদের কাছে অস্পষ্ট একটি বিষয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান,আদালতে যেকোন অভিযোগের ক্ষেত্রে আমরা অংশগ্রহণ করি এবং অভিযোগ বা মামলা বিধি মোতাবেক পরিচালনা করে থাকি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন