মাসের শেষেও পকেটে টাকা রাখতে মেনে চলুন ৬টি উপায়
মাসের প্রথমে সবার মুখেই হাসি থাকে তার কারণ একটাই। কারণ পকেট পুরোপুরি ভর্তি থাকে টাকায়। তবে এই হাসিমুখ কিন্তু মাসের শেষেই পুরো থমথমে হয়ে যায়, তার কারণটা নিশ্চই আমাদের কারোরই অজানা নয়। টাকা-পয়সায় টান পড়লে যে আমাদের প্রতিদিনের লাইফস্টাইলেও প্রভাব পড়ে, তা আশা করি মনে না করে দিলেও চলবে। তবে একটু নিজের খুশিকে সীমাবদ্ধ করতে পারলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে মাসের প্রথম থেকে মাসের শেষ পর্যন্ত আপনি নিজেই আপনার হাসিমুখটা একইভাবে বহাল রাখতে পারবেন সেই সম্পর্কে-
১। জাঙ্কফুড না খাওয়া-
শুধু পকেটই নয় , স্বাস্থ্য সচেতনতার দিক থেকেও নিজেকে সুস্থ রাখতে বাজারের লোভনীয় জাঙ্ক ফুডকে সহজেই বর্জন করুন। তাহলে ডাক্তারের চেম্বার থেকেও আপনি নিজে যেমন থাকবেন দূরে , ঠিক তেমনি বাইরের দামি খাবারের উপর খরচের রেশ টানলে পকেটও খালির হাত হতে বাঁচবে অনেকটাই।
২। দৈনিক ব্যায়াম করা-
স্বাস্থ্যের সমস্যা মানেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে খরচ । জিমে গিয়ে শরীর ফিট রাখা খুব সহজ কাজ। তবে জিম ছেড়ে বাড়িতেই ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করলে আপনার পকেট অযথা অর্থ ব্যায় থেকে যেমন বাঁচবে, ঠিক তার পাশাপাশি সারা জীবন আপনাকে দেবে একটি সুন্দর সুস্থ্য জীবন।
৩। শপিং মল এড়িয়ে চলুন-
শপিং মলের উজ্জ্বল চমকপ্রদ দোকানগুলো ক্রেতাদের নজর কারার জন্য সর্বদা উদগ্রীব । তবে নিজের লালসাকে একটু আয়ত্তে রাখলে মাসের শেষে পকেটে টানের হাত থকে কিন্তু পুরোপুরি মুক্তি । ব্র্যান্ডেড লাগানো জামাকাপড় বেশি দাম দিয়ে না কিনে একটু নিজেকে বুঝে চললেই হাসিমুখ শেষ মাস পর্যন্ত বজায় থাকে।
৪। রেস্টুরেন্ট এড়িয়ে চলুন-
এটি বলছি না যে মাসে একবারও যাবেন না। বাড়ির দৈনিক খাওয়ারের মুখবদল করতে রেস্তোরাঁয় যেতেই হবে। তবে সেটি মাসে তিন থকে চার বার হলেই কিন্তু বেশ চাপের। দোকান বা রেস্তোরাঁর খাবারের মুখে স্বাদের বদল হয় ঠিকই, তবে দামিদামি খাওয়ার গুলি খুব সহজেই থাবা বসায় মাসিক খরচের পকেটে। তাই একটু সামলে চললেই এর হাত থেকে মিলবে মুক্তি।
৫। ঘরকেই করতে পারেন বন্ধুদের আপ্যায়নের স্থান-
বাইরে অযথা দামি বিলাশ বহুল স্থানে বন্ধুদের আপ্যায়ন না করে, ভালো মুখরোচক খাওয়ার বাড়িতেই বানিয়ে ফেলে সকলকে তাক লাগানোর পাশাপাশি নিজের পকেটমানিও সহজেই করতে পারেন সেভ।
৬। মাটির ব্যাংকে টাকা জমান
অভ্যাসে আনুন একটু ভোলবদল। প্রতিদিন নিয়ম করে আপনার পকেট থেকে কিছু টাকা রেখে দিন পিগি ব্যাংকে। দেখবেন মাসের শেষে এর জাদু। হাসিমুখটি যেন খুব সহজেই ধরে রাখবে আপনার ঐ ছোট মাটির ব্যাংকটি ৷
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন